আমতলীর বকুল নেছা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়াকে সনদ জালিয়াতিসহ দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস।
মামলা ও বাদীসূত্রে জানা গেছে, মো. ফোরকান মিয়া জাল সনদ দিয়ে ১৯৯৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে প্রভাষক পদে বকুল নেছা মহিলা কলেজে চাকরি নেন। ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে ওই অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন।
তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত্সহ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পর কলেজ পরিচালনা পরিষদ তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি আনীত সব অভিযোগের সত্যতা পায়।
এ ছাড়া, ফোরকান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯২ সালে আমতলী ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বিএ পাস করার যে সনদ দেখান, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তী জাল বলে প্রত্যয়ন করেন।
এ সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট ফোরকানকে অধ্যক্ষ এবং প্রভাষক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান ফোরকানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফোরকান আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে জেল-হাজতে পাঠায়।