চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে একজনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, এ অবৈধ নিয়োগে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি, বরং নিয়োগকৃত ব্যক্তি দম্ভের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন। জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত এক অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিকের শূন্য পদে গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা গ্রামের সাকিল আলীর ছেলে বশির আহমেদ গত ৩০ মার্চ নিয়োগ পায়। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত বশির আহমেদ যে সনদ ব্যবহার করেছেন, তা অন্য একজন বশির আহমেদ। নরসিংদীর লিলু মিয়ার ছেলে বশির আহমেদ, তার পরীক্ষার রোল নং-১৪৯১৬৩৮ এবং রেজিঃ নং-১৪০১৪৯৫।
প্রকৃত সার্টিফিকেটধারী বশির আহমেদ সিলেটের একটি বিদ্যালয়ে একই পদে কর্মরত আছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, ঢাকার নীলক্ষেত এর অফিস সহকারি মিল্টনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের সার্টিফকেটে যেহেতু নাম উল্লেখ থাকে না, সেহেতু চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুচতুর বশির আহমেদ এভাবে জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছে। তবে, রেজিস্ট্রেশন এবং প্রবেশ পত্রে পিতা ও মাতার নাম উল্লেখ থাকে। তিনি আরও জানান, বশির আহমেদ সম্পূর্ণ জাল সার্টিফিকেট সৃষ্টি করেছে বলে অনলাইনে অনুসন্ধান করে নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে রানীবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত বশির আহমেদের কাছে তার রেজিস্ট্রেশন এবং প্রবেশপত্র দেখার জন্য বললে, তিনি দেখাতে পারেননি। তবে, তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন।
এদিকে, প্রধান শিক্ষক মো. রেজুয়ানুল করিম জানান, বশির আহমেদ শিক্ষাগত যোগ্যতার নকল সনদের একসেট ফটোকপি পাওয়ার পর সে এখন পর্যন্ত দেননি। তবে, তার এখনও বেতন চালু হয়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলে খোদা জানান, নিয়োগের সময় সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেননি। আর সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষা অফিসের। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, ফাইল আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এসএম মাহমুদ বলেন, নতুন নিয়োগ প্রাপ্তের কাগজপত্র এখনও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিসে জমা দেননি। কাগজপত্র পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগের কপি হাতে পাননি বলেও তিনি জানান।