জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ফের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষার সময় তাদের আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- নিশাত আহমেদ, নাঈমুর রহমান সরকার, আশরাফুজ্জামান নয়ন, মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ও নাঈমুর রহমান। আটক সবাই জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এছাড়া মো. রিজওয়ান নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নিশাত ও নাঈমুর আমাকে নিয়ে এসেছে। জালিয়াতির বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, নিশাত আহমেদ ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে শান্ত নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক আইন ও বিচার বিভাগে শান্ত পরীক্ষা দিলে ৪২তম স্থান লাভ করেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্রের সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পেলে তাকে আটক করা হয়। তার রোল নম্বর- ৬৩২১৩৬। এ সময় তার সঙ্গে আসা তার বড় ভাই ছাত্রদলকর্মী নাঈমুর রহমান সরকারকেও আটক করে প্রশাসন।
আশরাফুজ্জামান নয়ন ‘সি’ ইউনিটে ১৭তম স্থান লাভ করে। তিনি ১ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পান। তার রোল নম্বর- ৩৪২৪৭৬।
মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১৫২তম স্থান লাভ করে। তিনি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। তার রোল নম্বর- ৫২৩২৫৩।
নাঈমুর রহমান ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১২৭তম স্থান লাভ করেন। তিনি সুবির নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার চুক্তি করেন। ইতোমধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। তার রোল নম্বর- ৫২৬০৯৮।
বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. লোকমান হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (১২ নভেম্বর) মাহবুব হোসেন, ইমাম হোসেন, অমিত হাসান ও আশিকুল হাসান রবিন নামে আরো চার শিক্ষার্থীকে একই অভিযোগে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।