চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। অষ্টম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ পরীক্ষার জন্য কোনো ধরনের বাছাই পরীক্ষা বা নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে পারবে না। নির্বাচনী পরীক্ষায় কেউ পাস না করলে তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে। অষ্টম শ্রেণির প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের নাম করা স্কুল ও মাদরাসা নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে না। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এ ধরনের অভিযোগ করছে বোর্ডে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার জন্য কোনো ধরনের নির্বাচনী পরীক্ষার নেয়ার বিধান নেই। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হিসেবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য নির্বাচনী পরীক্ষা নিলে শিক্ষা বোর্ড নিষেধ করবে না। কিন্তু নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অভিভাবক এ ধরনের অভিযোগ জানালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা বোর্ড।
তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। তবে, কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলেই তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। আবেদনকারী সব শিক্ষার্থীকেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার আরো জানান, ১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সময়সূচির প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবার জেএসসিতে ২১ লাখ স্কুল শিক্ষার্থী এবং জেডিসিতে ৪ লাখ মাদরাসা শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারে।