জেল খেটেও কলেজ শিক্ষক বহাল তবিয়তে - দৈনিকশিক্ষা

জেল খেটেও কলেজ শিক্ষক বহাল তবিয়তে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

চট্টগ্রামে স্ত্রী নির্যাতন মামলায় জেলে যাওয়ার পরও বহালতবিয়তে এক কলেজ শিক্ষক। তার নাম আকরাম হোসেন সোহাগ। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাগারে ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফৌজদারি অপরাধে কোনো সরকারি কর্মকর্তা গ্রেফতার হলে আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু এ শিক্ষক কারাগারে গেলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মকর্তা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এখন বাদিনীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সূত্র অভিযোগ করেছে, গ্রেফতারের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কলেজ অধ্যক্ষ রহস্যজনক দীর্ঘসূত্রতার আশ্রয় নিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা ফৌজদারি মামলায় কারাগারে গেলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। নির্দেশনা এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলেজ শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নীলা পারভীন মারধর ও যৌতুক দাবি করায় ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ৩ জানুয়ারি স্বামী আকরাম হোসেন ফ্ল্যাট কেনার জন্য তার (বাদীর) পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই দিন তাকে মারধর ও স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন) পুলিশ ৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট সামাজিকভাবে নীলা পারভীন ও আকরাম হোসেন সোহাগ বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে সুবহা নামে দেড় বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বাদিনী চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগে হিসাব সহকারী হিসেবে চাকরি করেন। বিবাদী চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক। উভয়ের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় ও যৌতুক নিয়ে ঝগড়া হতো। উভয় পরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বিরোধ মীমাংসা করে দেন। গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাদিনী ও বিবাদীর মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়অ এতে বাদিনী আহত হন। পরে বাদিনীকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় তার স্বামী।’

সূত্র জানায়, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১ জুন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ৬ জুন উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন আকবর হোসেন সোহাগ। নির্ধারিত সময়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গত ১৭ জুন আদালত স্ত্রী নির্যাতনকারী কলেজ শিক্ষক সোহাগের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ৩১ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036239624023438