সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন নীলফামারী সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্রে একজন করে হাউস প্যারেন্ট, রিসোর্স টিচার, বাবুর্চি ও নৈশপ্রহরীর পদ রয়েছে। তবে বর্তমানে স্থায়ীভাবে কর্মরত আছেন একজন নৈশপ্রহরী। অস্থায়ীভাবে স্বল্প পারিশ্রমিকে একজন হাউস প্যারেন্ট ও একজন বাবুর্চি নিয়োগ করে জোড়াতালি দিয়ে এ কার্যক্রম চলছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরা যাতে শিক্ষার সুযোগ পায় এবং তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচির পরিবর্তে স্থানীয় বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করতে পারে, সে জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘রিসোর্স শিক্ষক’ এর তত্ত্বাবধানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে আসনসংখ্যা ১০। এসএসসি পর্যন্ত আবাসন ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা হয়।
নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ছাত্রাবাস-সংলগ্ন দ্বিতল ভবনে এ কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুরা একটি কক্ষে বসে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া করছে। কেন্দ্রে আটটি কক্ষ রয়েছে।
বাবুর্চি তাহেরা বানু বলেন, অস্থায়ী হাউস প্যারেন্ট হিসেবে কাজ করছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জাকারিয়া হুসাইন। সকালে ক্লাস নিয়ে তিনি ক্লাস করাতে রংপুরে গেছেন। নৈশপ্রহরী আলমগীর ইসলাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গেছেন। পরে আলমগীর ইসলাম বলেন, দিনাজপুরের দায়িত্বে থাকা রিসোর্স কর্মকর্তা সৈয়দ আক্কাস আলী মাসে একবার এখানে আসেন।
জেলা সদরের চয়ননগর গ্রামের সামসুল ইসলাম ও রিপন ইসলাম জানায়, তারা প্রায় এক বছর আগে এখানে ভর্তি হয়েছিল। ইতিমধ্যে তারা ব্রেইল পদ্ধতিতে এ কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেছে। বর্তমানে তারা পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
জাকারিয়া হুসাইন মুঠোফোনে বলেন, ১১ মাস ধরে তিনি অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কিন্তু এখনো স্থায়ীকরণের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, রিসোর্স শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হওয়ায় সেটি পিএসসির অধীনে নিয়োগ হয়। বাবুর্চির পদটিও নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।