বিশ্ব অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর্থিক টানাপড়েন প্রভৃতি কারণে ভিনদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অভিবাসনেচ্ছুদের মধ্যে তরুণ-যুবকদের সংখ্যা বেশি। বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। তাদের বেশির ভাগই বাস করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের হিসাব মতে, বিশ্বের ৭৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ২০০ কোটির বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বিশ্ব জনসংখ্যার এই ২৭ শতাংশকে বলা হয় মিলেনিয়াম জেনারেশন বা সহস্রাব্দ প্রজন্ম। আগামী পৃথিবীর সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান অনুঘটক তারা।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী, অফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে ১৯ কোটি হতদরিদ্র শিশুর বাস। বিশ্বের মোট হতদরিদ্র শিশুর ৫১ শতাংশ তারা। বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাস করে ৩৫.৭ শতাংশ দরিদ্র শিশু। সারা বিশ্বে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৭৬ কোটি ৭০ লাখ। তাদের অর্ধেকের বেশি শিশু। কর্মক্ষম হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি, যাদের বয়স ১৯ থেকে ৫৯ বছর।
শিশু-দারিদ্র্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক উদাসীনতা, রাজনৈতিক ব্যবহার প্রভৃতি কারণে শিশু-কিশোরদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তারা খুনখারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করছে।
শিশু-কিশোর-তরুণদের অপরাধপ্রবণতা দূর করতে হলে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা ও কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে। এ জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দিতে হবে। ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে। এ শিক্ষায় বিশেষ নজর দিতে হবে।
মো. আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায়
চকবাজার, চট্টগ্রাম।