রাজধানীর ধানমণ্ডির শুক্রাবাদ এলাকার একটি মেস থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অন্তত ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়। ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আটকদের ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি বোঝা যাবে।’
পুলিশ জানায়, জঙ্গিবিরোধী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রাবাদের ২১/৫ নম্বর ভবনে যায় পুলিশের একটি দল। চারতলা ভবনটিতে ‘জামিয়াতুস সালিহীন মাদ্রাসা’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে মেসও রয়েছে। ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মেসের চারটি কক্ষে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কয়েক শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন।
মূলত তাদের মেসেই অভিযান চালানো হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। আটকদের মধ্যে দু’জন মাদ্রাসাটির শিক্ষক বলেও জানা গেছে। পরে তাদের শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
শাহিরুন হুদা নামে আটক এক তরুণ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে জানান, তিনি ড্যাফোডিলের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনিসহ মোট ১২ শিক্ষার্থী দুটি তলার মেসে থাকেন। তাদের সবাইকেই আটক করা হয়েছে।
পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিসুর রশিদ বলেন, আটকদের মোবাইল ফোনে ‘বাঁশের কেল্লা’সহ কিছু উগ্রপন্থি সংগঠনের ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘নিশ্চিত হওয়ার আগে তাদের জঙ্গি বা অন্য কিছু বলা ঠিক হবে না। আটক নয়জনের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। তবে ওই মাদ্রাসায় পাঁচ থেকে ১০ বছরের শিশুরা পড়ে। সেখানে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা চারটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’