এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে (৩১ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যৌথ আয়োজনে ‘নাগরিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজধানীকে সবুজায়ন করার লক্ষে আগামী ২ বছরে ৩ লাখ ২৫ হাজার গাছের চারা লাগানো হবে।
আনিসুল হক বলেন, একজন মা অনেক বেদনা সহ্য করে একটি সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু শহরের বিষাক্ত বায়ু এই শিশুটির প্রাণ শক্তি নষ্ট করে দেয়। তাই এই শহরের প্রতিটি মানুষকে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে শিশুটির দায়িত্ব নিতে হবে। বাতাস শোধনের প্রধান প্রতিষেদক হিসেবে ঢাকা শহরকে পরিস্কার রাখতে হবে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনকে নির্মাণ ও মেডিকেল বর্জ্যসহ সব ধরনের আবর্জনা মুক্ত রাখতে হবে। সিটি করপোরেশনের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে উত্তর সিটি করপোরেশন এ লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২ বছরে উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩ লাখ ২৫ হাজার গাছ লাগানো হবে। গ্রিন ঢাকা গড়তে প্রতিটি বাড়ির ছাদেও বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের ভেতরে বালু ভর্তি ট্রাক খোলামেলা চলাচল করতে পারবে না। বালু ভর্তি ট্রাক ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রী দিনেরটা দিন এনে কাজ করতে হবে। এক সঙ্গে এনে খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না। সিটি করপোরেশনের পুরাতন সকল বিল্ডিং রং করতে হবে। তা নাহলে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবো।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নেতৃত্বে চলছে সিটি করপোরেশনের এ কাজ।