এইচএসসির ফলাফলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৪২ হাজার শিক্ষার্থী আপত্তি জানিয়েছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণ চেয়ে বোর্ডটিতে আবেদন করেছেন তারা। বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এ বছর মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফলাফলে উত্তীর্ণ হয় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৬ জন। পাসের হার ছিল বোর্ডটিতে ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এই ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন ৪২ হাজার ১৫১ ছাত্রছাত্রী। সে হিসাবে মোট পরীক্ষার্থীর ১২ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী এই আবেদন করেছেন। তারা মোট ১ লাখ ২৬ হাজার পত্রের ফলাফল পুনরায় নিরীক্ষণ চেয়ে আবেদন করেছেন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আইসিটি ও ইংরেজির ফল চেয়ে আবেদন করেছেন। বিষয় দুটিতে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৭ হাজার ৪৯১ ও ১৪ হাজার ও ৮৯১ জন। এ ছাড়া বাংলা, পদার্থবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানের ফল পুনঃনিরীক্ষণ চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৬৫, ৬ হাজার ৬৮৬, ৬ হাজার ১৫৬ ও ৫ হাজার ২০৭ জন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর জিপিএ-এর পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বর জানিয়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশি আবেদন করেছে। ফেল থেকে পাস নয়, বরং পাস করেছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জিপিএ পায়নি এমন আবেদনের সংখ্যাই বেশি। অনেক আবেদনকারী রয়েছেন যারা ৭৮ বা ৭৯ পেয়েছেন।
এক বা দুই নম্বরের জন্য জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারাও ফল নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। এ ছাড়া আইসিটিতে মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম নম্বর পেয়েছে। ইংরেজিতে কম নম্বর এসেছে অনেকের। সব মিলেই পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনে প্রভাব পড়েছে।