ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে লড়ছেন বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী। আগামী ৬, ১৩ ও ২০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে : গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ এবং জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ।
গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের অনুসারীরা মনে করেন, গত নির্বাচনের (২০১৩ সালে) মতোই এ বছরও বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে এই পরিষদ। গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ সাত দফা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
এর মধ্যে গণতান্ত্রিক আদেশ, ১৯৭৩ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা। সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা। নতুন নতুন যুগোপযোগী বিভাগ, গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সুযোগ-সবিধা বৃদ্ধি করা।
প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া এবং সিনেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরে দুটি সিনেট অধিবেশন আহ্বান করা।
গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন— অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, এ আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল, এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, এ বি এম বদরুদ্দোজা, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম. ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, নিজাম চৌধুরী, মিসেস মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (কবি মুহাম্মদ সামাদ), অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল বারী, ব্যাংকার মো. আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, রঞ্জিত কুমার সাহা, রামেন্দু (কৃষ্ণ) মজুমদার, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।