শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য-প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বর্তমান আইসিটির যুগে যত বেশি জ্ঞান আহরণ করবে ততই লেখা-পড়ার সহায়ক হবে। তথ্য-প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ও ব্যবহার করে অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আইসিটির কল্যাণে শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এখন মানুষ যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুয়েট অডিটোরিয়ামে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে নবীন ছাত্র-ছাত্রীরদের লেভেল-১ এর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন বাংলাদেশ গড়ার যে সফল লক্ষ্যমাত্রায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সেখানে তথ্য-প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই ছাত্রছাত্রীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে আপডেট থাকতে হবে। শিক্ষা-গবেষণায় এর সফল প্রয়োগ করে আরও এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা কামাল, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আশতোষ সাহা, রেজিস্ট্রার (অতি.দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ড. কুদরত-ই-খোদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। সঞ্চালনায় ছিলেন মানবিক বিভাগের প্রভাষক নাহিদা সুলতানা এবং সিএসই বিভাগের প্রভাষক রুহমা বিনতে মফিজ মুক্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একটি ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।