তনু হত্যার বিচার : রাষ্ট্র ও সমাজের দায় - Dainikshiksha

তনু হত্যার বিচার : রাষ্ট্র ও সমাজের দায়

আয়শা খানম |

আবারও একটি ভয়াবহ নারী হত্যা সংঘটিত হল, আবারও একটি ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। আবারও বলছি এ কারণে যে, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা এটি প্রথম নয়, গত ৮ থেকে ১০ বছরের পরিসংখ্যান আমাদের এক উদ্বেগজনক তথ্য দেয়। গত ৮ বছরে ধর্ষণের শিকার ৪ হাজার ৩০৪ জনের মধ্যে ৭৪০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। হয়তো অজানা আরও তথ্য যোগ করলে এ হত্যার সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়াবে। সেজন্যই বলছি ঘটনাটা নতুন নয়, যদিও চরম নির্মম এবং পাশবিক। এটি শুধু নারী অধিকার আন্দোলনের বিষয় নয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিষয়। আর এবার যখন আরেকজন কিশোরী, ১৯ বছরের তনু- যে নিজেও ছাত্রী ছিল এবং ছাত্রী পড়াত অর্থাৎ নারী শিক্ষা বিস্তারের একজন কর্মী ছিল সে। তার নির্মম হত্যার প্রতিবাদে যখন তার সহপাঠী এবং সমাজের অন্যান্য অংশ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, প্রতিবাদ গড়ে তুলছেন তখন আমি একজন নারী কর্মী হিসেবে আমার গভীর দুঃখ ও যন্ত্রণার মাঝেও নতুন আশার আলো দেখি। সমাজের বিবেক জাগ্রত হবেই হবে।

তনু কীভাবে হত্যার শিকার হল, এটা বুঝতে দু’বার তার লাশ তোলা হল। এ বিষয় নিয়ে অনেক টকশো হল। এ নিয়ে সাংবাদিক কর্মীদের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবি রাখে। তারা যে ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা সমাজের যারা নাগরিক, সমাজকর্মী, নারী কর্মী, নারীর মানবাধিকার কর্মী, সর্বোপরি প্রশাসন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, নাগরিকের নিরাপত্তাদানকারী রাষ্ট্র- আমরা কোনোমতেই এর দায় এড়াতে পারি না। গুলি খাওয়া পাখির মতো যন্ত্রণাবিদ্ধ তনুর মা, বাবা, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমি একজন মা, একজন নাগরিক, একজন নারী অধিকার কর্মী হিসেবে সমবেদনা জানানো কিংবা সাহসে ভর করে দাঁড়ানোর কথা বলার মতো কোনো মুখ আমার নেই। আমি আজ তনু হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের কর্মপদ্ধতি বিশ্লেষণ করার ওপর জোর দিই।

৪ বছরের সোনিয়া যখন ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৯৮৪ সালে, মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়াত সভানেত্রী সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে আমরা সামাজিক প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের স্লোগান ছিল-‘সমাজের বিবেক জাগ্রত হোক’ এবং দেশব্যাপী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলাম। বলা দরকার আজও পর্যন্ত এ কর্মকাণ্ড চলছে। আজও বলছি ‘সমাজের বিবেক জাগ্রত হোক’, সরকার, রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি হোক। এখন প্রশ্ন হতে পারে, আপনারা কতদূর অগ্রসর হলেন? শুধু মহিলা পরিষদ নয়, ’৯০-এর দশক এবং তারপর থেকে আরও অনেক নারী, মানবাধিকার এবং উন্নয়ন সংগঠন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ-প্রতিকারমূলক কাজ, নির্যাতনের শিকার নারীদের পাশে আইনি ও মানসিক সহায়তা দেয়ার কাজ ধারাবাহিকভাবে সংগঠিতভাবে দিয়ে আসছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাকের নাম উল্লেখ করা যায় এবং এলাকাভিত্তিক অনেক ছোট ছোট সংগঠন তারাও এ কাজে যুক্ত হয়েছে। এলাকাবাসী আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সচেতন হয়েছে। কিন্তু যে জায়গাগুলোতে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে, সরকারিভাবে (ধারাবাহিক সরকারগুলো) গভীর মনোযোগ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার রক্ষার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড দুর্বলতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছি তা হল ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংস আচরণ এগুলোর বিরুদ্ধে পরিবারে, প্রশাসনে বড় ধরনের প্রতিরোধমূলক, নারীর মানবাধিকারের ভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতি গড়ে তুলতে পারিনি এখনও। সেজন্যই এসব ধর্ষণকারী পরিবার থেকে কোনো শিক্ষা পাচ্ছে না। পরিবারে নারীর প্রতি সম্মান জানানো, নারীর মানবাধিকারের স্বীকৃতির মনোভাব গড়ে তোলায় ব্যর্থ হচ্ছি আমরা। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো (প্রাথমিক-উচ্চশিক্ষা) নারীর সমঅধিকার, মানবাধিকারের পক্ষে দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ গড়ে তোলার শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

আমরা দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে নারীর মানবাধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকার, রাষ্ট্রের কাছে সুপারিশ, জোরালো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ জানিয়ে আসছি পাঠক্রমে, পাঠ্যসূচিতে স্কুল-কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নারী-পুরুষ সমতা, লিঙ্গীয় সমতার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখি নীতিনির্ধারকদের মাঝে খুব কমসংখ্যক ব্যক্তি এ চিন্তাধারার পাশে আছেন। সরকার ও রাষ্ট্রপরিচালনায় আমাদের পূর্ণমাত্রায় গণতন্ত্রের নীতি, সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে চললেও সুশাসন বা এসব ক্ষেত্রে নানা দুর্বলতা থাকলেও তারা অঙ্গীকার করেন বা চেষ্টা করেন। কিন্তু সামাজিক সংস্কারের প্রশ্নে, নারীর মানবাধিকারের প্রশ্নে তারা কখনোই কিংবা খুব কম সময়েই রাজনৈতিক অঙ্গীকার করেন। আর করলেও বাস্তবে চেষ্টা করেন না। সাম্প্রতিক সময়েও যখন আমরা নারী নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি, কন্যাশিশুর নিরাপত্তাহীনতা, তরুণীদের যৌন হয়রানি এসব বিষয়ে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পেশ করি, তখন তাদের কাছে থেকে আশাব্যঞ্জক, প্রতিকারমূলক সাড়া খুব কম সময়েই পাওয়া যায়, বরং অনেক সময়ে তাদের পক্ষ থেকে বলতে শুনি এগুলো গণমাধ্যমের অতিপ্রচার, নারী আন্দোলনকারীদের অতিকথন। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, নীতিনির্ধারক, রাষ্ট্রপরিচালনাকারীদের দৃষ্টি পরিবর্তন করতে হবে। তাদের আরও জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে। নারীর মানবাধিকারের প্রতি বিশ্বস্ত ও অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। মর্মান্তিক তনু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়ায় আমরা আবারও একই ধরনের নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা, কালক্ষেপণের প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতেও পাব। তনুর দেহ অনেকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। অনেক প্রতিবেদন আমরা পাব। অমি অতীতের কর্মকাণ্ড থেকে, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এ ধরনের মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। যে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অতীতে হয়েছে সেগুলোর বিশাল বয়ান না দিয়ে আজ আমি সংক্ষেপে বলতে চাই :

এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ায় অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় নেয়া কোনোমতেই উচিত নয়।

ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনাগুলোতে বিশেষভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধিকতর স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ, ইতিবাচক ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন, যা অনেক সময়েই আমাদের সমাজের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিশেষ ধরনের বাস্তবতার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না।

প্রশাসন দ্রুত আন্তরিক চেষ্টা নিতে গিয়ে প্রায় সময়েই তথাকথিত ওপর মহলের চাপের সমস্যার কথা বলেন। এ ওপর মহল অর্থ হতে পারে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি, হতে পারে দলীয় স্বার্থ, হতে পারে রাজনৈতিক খেলার প্রক্রিয়া কিংবা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর চাপ। ঢাকার কাফরুলে ন্যাম ভবনের একটি ফ্ল্যাটে এ মাসেই একজন তরুণী গৃহপরিচালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা দেখেছি কীভাবে প্রশাসনের যথাযথ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হয়। কীভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে গিয়ে কর্মীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। অযথা সময়ক্ষেপণের ব্যবস্থা করা হয়।

গত কয়েক বছর বিশেষভাবে চলন্তবাসে নারী, তরুণী ধর্ষণ; যানবাহনে নারী, তরুণী ধর্ষণ; নৌকায় নারী, তরুণী ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটছে। কেবল যৌন হয়রানি নয়, ধর্ষণের পরে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্ষণের মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে কতকগুলো আইনি বাধার সম্মুখীন হই যা পরিণতিতে অনেক সময় ধর্ষণকারীর পক্ষে যায়। যেমন ধর্ষণের মামলায় সাক্ষীকে হাজির করতে হবে। সাধারণ জ্ঞানবোধসম্পন্ন নাগরিক বুঝতে পারে ধর্ষণের সময় সাক্ষী রাখা বা থাকা কতটুকু বাস্তবসম্মত। তাহলে এ আইনটির পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়াও ধর্ষণের শিকার একজন তরুণীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেভাবে বাংলাদেশে করা হয় তা নিয়েও আমরা দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছি, সুপারিশ করে আসছি। যেমন অতি অমানবিক, পশ্চাৎপদ, অভব্য, অসভ্য প্রথা অনুসরণ করা হয় (টু ফিঙ্গার টেস্ট)। এ পদ্ধতির কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। আজকের ২১ শতকের এ বিশ্বে, তথ্য প্রযুক্তির এ অগ্রগতির যুগে এ পদ্ধতি কোনোমতেই অনসুরণ করা উচিত নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ বিষয়ে সরকারের আইন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগের তেমন কোনো উদ্যোগ বা তৎপরতা আমরা লক্ষ করছি না। ভারতেও সম্প্রতি ধর্ষণ আইনের খানিকটা সংস্কার করা হয়েছে। সেই আইনমতে সেফ কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের মামলায় (Burden of proof ) প্রমাণ করার দায়িত্ব ধর্ষণকারীর ওপর অর্পিত হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীর ওপর নয়। আমরা এ সুপারিশগুলো এর আগে সরকারের কাছে অনেকবার পেশ করেছি, আবারও আজকে পেশ করছি।

বিখ্যাত সাংবাদিক লেখক সুশান ব্রাউন মিলার তার বিখ্যাত গ্রন্থ Against our will : Rape Men and Women-এ সর্বশেষ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে rape নারীকে পদানত করে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সামাজিক-রাজনৈতিক সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং নারীর জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। মানবাধিকার লংঘিত হয়। সুশান মিলার বাংলাদেশেও এসেছিলেন। ১৯৭১-এ যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে- ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সেই তথ্য এ গ্রন্থে উল্লেখ আছে। তার বইয়ের কথা প্রাসঙ্গিকভাবেই আজ আমি উল্লেখ করলাম। বাংলাদেশের নারী মানবাধিকার কর্মী হিসেবে (১৯৭১ থেকে আজ অবধি) আমি লক্ষ করছি সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অবক্ষয় এসব ঘটনার মাত্রা ও সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। আমি, আমরা আজ উদ্বিগ্ন। সমগ্র দেশবাসী আজ উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি উদ্বিগ্ন? এটাই আমার প্রশ্ন।

আমরা স্বাধীনতার ৪৬তম বার্ষিকী পালন করছি। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অর্জন অনেক। নারীর অগ্রযাত্রার অর্জনও উল্লেখযোগ্য। সাধারণ নারী তাদের একাগ্রতা ও নিজস্ব শক্তি দিয়ে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করছে। তারা খেলাধুলা তথা সব ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোতে সততা, দায়বদ্ধতা, আন্তরিকতা, মেধার পরিচয় দিচ্ছে। আমাদের মাবিয়া সীমান্ত ঘরে ঘরে অনেক আছে, যারা জীবন এবং সংসারের অনেক ভারি ভার উত্তোলন করছেন, দায়বদ্ধতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। কিন্তু সমাজ এবং রাষ্ট্র কতটা এগিয়ে আসছে এ নারীকে সহায়তা করার জন্য, এটি কিন্তু আজকে প্রশ্ন। সংসদে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে কতদিন, কয়বার বাংলাদেশের নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার বিষয় নিয়ে, করণীয় নিয়ে আলোচিত হয়েছে? বরং কখনও কখনও উল্টো কথা আমরা শুনি। যা বলতেও লজ্জা হয়।। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, নারীদের ধর্ষণের মাত্রা বাড়বেই কারণ তার পোশাকটা ঠিক নয়। এ ধরনের অতি পশ্চাৎপদতা, নেতিবাচক মন্তব্য ধর্ষণকারীদের সহায়তা করে। কিন্তু তনু? পত্রিকার পাতায় যতটুকু দেখেছি তনুর সারা শরীর ঢাকা। তনু কেন ধর্ষণের শিকার হল? আমাদের রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এটি হয়তো আমার ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য হতে পারে। আমাকে নীতিনির্ধারকরা ক্ষমা করবেন। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা তাই বলে। সেজন্যই এ অপ্রিয় কথা বলতে বাধ্য হলাম। আমরা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে জোরালো আলোচনা দেখতে চাই এবং কী ধরনের পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন তা জানতে চাই। নারী আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চাই।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতি, সমাজের বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম ন্যায়বিচার অগ্রগতি-উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ভিশন ২০২১ কিংবা ভিশন ২০৩০ কিংবা এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (বৈশ্বিকভাবে ঘোষিত ও জাতীয়ভাবে গৃহীত) পূরণ একপেশে হবে, কোনোদিনও অগ্রসর হবে না, যদি না নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া হয়। নারী নির্যাতন এবং সহিংস আচরণ বন্ধের জন্য যেমন প্রশাসনে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে জেন্ডার সমতা বিষয়ে যুক্ত করা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি How to strengthen Parliament নামক প্রকল্পের অধীনে যেসব প্রশিক্ষণ চলছে (জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের) সেখানে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রশাসন আমাদের সবাইকে সব ধরনের নারী নির্যাতন, হত্যা, শিশু নির্যাতন ও হত্যা এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, প্রতিকার করতে হবে। তনুদের হত্যার দায় আমরা কেউই কোনোমতেই এড়াতে পারি না।

লেখক: আয়শা খানম, সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032889842987061