কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে সিআইডি। এরপর তা তনুর মরদেহ থেকে নেয়া নমুনায় পাওয়া তিনজনের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নাজমুল করিম খান এসব কথা বলেন।
নাজমুল করিম খান বলেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্য থেকে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। ডিএনএ পরীক্ষায় যেসব আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো অপরাধীদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আমরা আশা করছি, দেশবাসীকে তনু হত্যা নিয়ে ভালো খবর দিতে পারব।’
তনুর মা ইতিপূর্বে সন্দেহভাজন হিসেবে সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহি জাহিদ নামের দুই সেনাসদস্যের নাম বলেছিলেন, তাঁদের এই ডিএনএ পরীক্ষার আওতায় আনা হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ এর আগে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ তোলার পর তাঁর শরীরের কিছু নমুনা ও পরনের কাপড় ডিএনএ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।গত সোমবার সিআইডি জানায়, ডিএনএ ফরেনসিক পরীক্ষায় তনুকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে চারজনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রোফাইল তনুর। বাকি তিনটি প্রোফাইল পৃথক তিনজনের। পরীক্ষায় এই তিনজনের বীর্যের আলামত পাওয়া গেছে।