জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েমে) তোপের মুখে পড়েছে ‘ক’ প্যানেলের প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) নায়েমে ১৬৩ জন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থী লাইন ধরে অগ্রিম ভোট দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ক প্যানেলের সভাপতি পদে অধ্যাপক মো. মাসুমের রব্বানীর পক্ষে ভোট চান রাশিদা।
১ জুন ভোট গ্রহণ হবে।
এদিকে শিক্ষা ভবনের উপ-পরিচালকের পদে থেকে একজন পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে বৃহস্পতিবার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সিলেটে বদলি করে দিয়ে ছাত্রদল সমর্থক একজন রব্বানীর লোককে পদায়ন করা হয়েছে বলে শিক্ষা ক্যাডারের সর্বত্র আলোচনা চলছে। ওই শাখায় কলেজ জাতীয়করণের কাজে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা উপার্জন হওয়ার খবর চাউর রয়েছে। বদলিকৃত উপ-পরিচালকের কারণে ব্যবসা খারাপ চলছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ২০১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিক্ষা ক্যাডারেরই তিনজন কর্মকর্তা। তাদের প্রতিবেদনটি ২০১২ খ্রিস্টাব্দে সমিতির নিয়মিত প্রকাশনায় প্রকাশ হয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন ও মহাসচিব অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর। প্রতিবেদনে মাসুমে রব্বানীর বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দিয়েছিলেন ওই সময়ের সমিতির সভাপতি স্বয়ং।
মাসুমে রব্বানীর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিকশিক্ষাকে শুক্রবার বিকেলে বলেন, সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয় তিনি জানেন। সমকালের সাংবাদিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই লিখেছেন হয়তো। তবে, বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।
তিনি দাবি করেন, তার শ্বশুরকূলের সবাই ভারতের শিলিগুড়িতে থাকেন।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরের বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে কেন নারায়ণগঞ্জের পাগলায় জমি কিনে বাড়ী তৈরি করেছন, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি মাসুমে রব্বানী খান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মাসুম বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, তাই একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে তার বিরুদ্ধে।
সমিতির বিগত নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করে হেরেছেন মাসুমে রব্বানী।