কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও দুই শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে ওই ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের অন্তত তিনজন নেতা দাবি করেন, সিলেটে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। বিক্ষোভের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামিয়ে গণিত বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমানকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনের চায়ের দোকানের পাশে নিয়ে যান ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তাকে বেধড়ক পেটান ছাত্রলীগের একদল কর্মী। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর মো. খলিলুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে পাঠিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ইংরেজি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগোয়া সামাজিক বন বিভাগ এলাকায় নিয়ে শিবির বলে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। শিবিরের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিবির নামধারী হয়ে নাশকতা করবে, তাদের বিষয়ে ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থান নেবে। ওই দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করার কারণ জানতে চাইলে, তিনি বলেন, শিবির হওয়ায় তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।
এর আগে মার্কেটিং ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল হালিমকে শিবির আখ্যা দিয়ে মারধরের পর থানায় নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া। অথচ আবদুল হালিম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী।