অবশেষে দুই হাজার শাখা শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল ৫ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ খবর জানা গেছে।
আদেশে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে অনুমোদনকৃত মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণি/শাখা/বিভাগের বিপরীতে বিধি মোতাবেক যথানিয়মে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ৬৪ জেলায় এমপিওবিহীন শাখা শিক্ষক এক হাজার নয়শত চুয়াল্লিশ জন। এঁদের পেছনে এমপিও, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ী ভাড়া ও দুটি উৎসব বোনাস দিতে সরকারের বাৎসরিক ব্যয় হবে ৪২ কোটি ৩৭ লাখ বিরানব্বই হাজার টাকা। সবাই গ্রেড জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ কোড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরের আগে দুই বছর এমপিও না দেয়ার শর্তে অনুমোদিত শ্রেণি শাখার বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিও শিক্ষকের এ সংখ্যা ও এমপিওবাবদ বাৎসরিক খরচের হিসেব শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৬ সেপ্টম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ শে আগস্ট অধিদপ্তরের কাছে এসব তথ্যসহ সুপারিশ চায়। তারই প্রেক্ষিতে মাঠ অফিসারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাজেটের হিসেব কষে এমপিওভুক্তির সুপারিশসহ বিস্তারিত শিক্ষাসচিবকে পাঠানো হয়েছে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরের পরে এমপিও না দেয়ার শর্তে বিজ্ঞান বিষয় অনুমোদনের ফলে ২১৮ জন শিক্ষক এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদেরকেও এমপিওভুক্তির সুপারিশ করেছেন মহাপরিচালক।