অনুমোদনহীনভাবে কোচিং সেন্টার পরিচালনা ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ায় ৩০ কোচিং সেন্টারের মালিককে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই তলবে মালিকরা হাজির হয়ে তাদের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদকের নিভর্রশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে কোচিং মালিকরা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। যে কারণে তাদেরকে কোচিং পরিচালনায় অনুমতি বা কিভাবে কোচিং পরিচালনা করা হয় সেসব যাবতীয় ডকুমেন্ট নিয়ে রোববার কমিশনে হাজির হওয়ার কথা ছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল থেকে কোচিং মালিকরা কমিশনে হাজির হচ্ছেন। পরবতীর্তে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নানা অনিয়মের অভিযোগে গত সপ্তাহে রাজধানীতে ১৪টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পেরেশন (ডিএনসিসি) ৬টি কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করে।
কোচিং সেন্টারগুলো হলো- ইউসিসি কোচিং সেন্টার, ইউনিএইড কোচিং সেন্টার, আইকন কোচিং সেন্টার, আইকন প্লাস কোচিং সেন্টার, ওমেগা কোচিং সেন্টার এবং প্যারাগন কোচিং সেন্টার।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ছয়টি কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলের দু’দিন পর পূর্বানুমতি না থাকায় ৮টি কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
লাইসেন্স বাতিল করা কোচিং সেন্টারগুলো হলো- এক্সপার্ট একাডেমি কোচিং, গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রিনহিল টিউটরিয়াল, কম্বাইন টিউটরিয়াল, উদ্ভাস কোচিং সেন্টার, সানি হিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গ্লোরিয়াস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাডেট একাডেমি, রকিবুল ইসলাম অনার্স কোচিং।