দুই কারণে অনশন শুরু করতে দেরি করছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। শনিবারের মধ্যে জাতীয়করণের দাবি না মানলে রোববার (১৪ জানুয়ারি) আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। তীব্র শীতের মধ্যে জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শুক্রবার (১২ই জানুয়ারি) তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান করেন তারা। আজ শনিবার চতুর্থ দিন শুরু।
বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের নেতা নজরুল ইসলাম রনি শুক্রবার গভীর রাতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার কারণে ফোরাম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনশন একদিন পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন নেতা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, সরকারের উচ্চমহলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন নেতৃবৃন্দ। অনশন শুরুর আগে একটু অবহিত করতে চান তারা। মূলত এই দুই কারণে অনশন শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে ৫ টি শিক্ষক সংগঠনের জোট বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে গত বুধবার ( ১০ই জানুয়ারি) থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনকনে শীতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা।
অবস্থান কর্মসূচির চর্তুথ দিন শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। তিনি বলেন, শিক্ষায় সকল বৈষম্য নিরসনে এখনই উপযুক্ত সময়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো বৈষম্যহীন আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। তিনি সরকারের প্রতি শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার অবস্থান কর্মসূচির বিভিন্ন পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন মো. আবুল বাসার হাওলাদার, মো. নজরুল ইসলাম রনি, মো. জসিম উদ্দীন, ড. ঈদ্রীস আলী, আব্দুস সালাম খান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, সাইদুল হাসান সেলিম, জি এম শাওন, মো. জসিম উদ্দীন শিকদার ও মতিউর রহমান দুলাল।