ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় নন-এমপিও ১৫ টি প্রতিষ্ঠানের ১৩০ জন শিক্ষক এখন হতাশায় দিনযাপন করছেন। নিবন্ধন সনদ পাস করে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে আজ তারা চেয়ে আছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকদের দিকে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, অত্র উপজেলার ৩ টি নিন্ম মাধ্যমিক ও ২ টি মাধ্যমিকসহ মোট ১৩ টি নন এমপিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো- সৈয়দপুরে অবস্থিত সাকিনা আদর্শ একাডেমি, উত্তর জয়নগরের খালেদা খানম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়নগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা , নলগড়া শরিফবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা, দক্ষীন জয়নগরের রহিমা খানম বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষীন জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেদুয়া বাইতুননুর দাখিল মাদ্রাসা, চর খলিফার দক্ষীন কলাকোপা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা , জয়নুল আবেদীন আলিম মাদ্রাসার আলিম শাখা, জয়নুল আবেদীন ল্যাবরেটরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সৈয়দপুর ইউনিয়নের হোসাইনিয়া এতিমখানা মহিলা আলিম মাদ্রাসার আলিম শাখা ও চরপাতা ইউনিয়নের বায়তুল ফালাহ আলিম মাদ্রাসার আলিম শাখা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জমান দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, নিন্ম মাধ্যমিক স্তরের ৭ জন করে ও মাধ্যমিক স্তরের ১১ জন করে মোট ১৩ টি নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ শত শিক্ষক- কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়া, দৌলতখান মহিলা কলেজের ৩টি শাখার ২০ জন , হালিমা খাতুন মহিলা করেজের ডিগ্রি শাখার ১০ জনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দিনের পর দিন বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ দিন বেতন ভাতা না পাওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে আবার অনেকের সরকারী চাকুরীর বয়স পার হয়ে গেছে। বর্তমানে তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।
বেতন-বিহীন চাকুরীরত এ সমস্ত শিক্ষক অর্থাভাবে মনোযোগ সহকারে পাঠদান করতে পারছেন না।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে, আবার শিক্ষক নিবন্ধন অর্জন করার পরও দীর্ঘ দিন বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষকরা হতাশায় দিনযাপন করতেছেন।বেতনবিহীন এসব শিক্ষকরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ।