রাজশাহীতে মালদ্বীপের নাগরিক ও ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফের পুনঃ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভিসেরা প্রতিবেদন এসেছে। ডাক্তার লিখেছে লাশ পচে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা গেলো না। তবে সুইসাইডাল ঘটনাটি বাদ দেওয়া যায় না।’ চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফরেনসিক বিভাগ থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপের প্রতিবেদন এখনো আমাদের কাছে আসেনি। প্রতিবেদনগুলো আসার পর চার্জশিট দেওয়া হবে।
আসামির ব্যাপারে আসমাউল হক বলেন, ‘রোজা ঈদেও সে ভারতে যেতে পারেনি। তাকে আমাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমরা মৃত্যু না আত্মহত্যা বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য গভীরভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধারের পর ৩১ মার্চ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করে মেডিক্যাল বোর্ড।
পরে গত ১১ এপ্রিল রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছে বলে কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেছেন। রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর গত ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ।
রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তের ভারও দেয়া হয় সিআইডিকে। গত ২০ এপ্রিল থেকে মামলা দুইটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি।