বরগুনার আমতলী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে বখাটেরা তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে পরিবারের কাউকে জানায়নি। সম্প্রতি শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাকে স্থানীয় একজন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সে ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা করেছেন। এতে মিরাজ ভদ্দর ও সাইমুন হোসেন নামের দুই যুবককে আসামি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০০৯ সালে তার বাবা মারা যান। তার মা একই এলাকার আরেক ব্যক্তির সঙ্গে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মেয়েটি সেই বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে। এ বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় দুই বখাটে মিরাজ ভদ্দর ও সাইমুন হোসেন ধর্ষণ করে। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে ছাত্রীটির শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চান তার মা। পরে ছাত্রীটি সব ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে। তিনি (মা) বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হয়। কিন্তু বখাটে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেন। ছাত্রীটির মা সোমবার রাতে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিরাজ ও সাইমুনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ছাত্রীটির মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যাতে আমরা বাড়াবাড়ি না করি, সে জন্য ওই বখাটেরা আমাকে ও আমার মেয়েকে হুমকি দিয়েছে। বাধ্য হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি। এতটুকু মেয়ের যারা সর্বনাশ করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর পরিবারের জমা দেওয়া ডাক্তারি প্রতিবেদনে সে ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে গতকাল মঙ্গলবার পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।