নতুন নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ যেভাবে - দৈনিকশিক্ষা

নতুন নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

NTRCA-logoবেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম করে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা পর্যদের অনুমোদন নিয়ে স্কুল-কলেজেগুলো শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠাবে।

সারা দেশে আছে প্রায় ১৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাড়ে তিন হাজার কলেজ ও সাড়ে ৯ হাজার মাদ্রাসা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নিয়ম জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬-এর। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনুসরণীয় পদ্ধতিও বাতলে দেওয়া হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্রে।

যাঁরা নিয়োগের অপেক্ষায়

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় ছয় লাখ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩২২ জন। গত ২১ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার ফলে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা পর্যদের ক্ষমতা খর্ব হয়। ১১ নভেম্বর পরিপত্র জারি করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিপত্র জারি করায় ওই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। এখন আর শিক্ষক নিয়োগে বাধা রইল না। তবে তা করতে হবে নতুন নিয়ম মেনে।

প্রথমে চাহিদাপত্র

 পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে পরবর্তী বছরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ‘নিয়োগযোগ্য পদের’ একটি চাহিদাপত্র উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন। উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা একত্র করে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে একটি সমন্বিত চাহিদাপত্র পাঠাবেন জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার জেলার চাহিদাগুলো একীভূত করে একটি সমন্বিত চাহিদাপত্র পাঠাবেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে।

পরীক্ষা নেবে এনটিআরসিএ

প্রতিবছর নিবন্ধন বা প্রার্থী বাছাইসংক্রান্ত সব পরীক্ষা নেবে এনটিআরসিএ। চাহিদা অনুযায়ী পদ বা বিষয়ভিত্তিক জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা বা থানাওয়ারি মেধাক্রম প্রণয়ন করে ফলাফল ঘোষণা করবে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যূনতম দুই মাস আগে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোতে সরকার নির্ধারিত কোটার প্রাপ্যতা উল্লেখ করে এনটিআরসিএতে অধিযাচনপত্র পাঠাবে প্রতিষ্ঠান প্রধান।

আবেদন অনলাইনে

অধিযাচনপত্রের (রিকুইজিশন) ভিত্তিতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (.িহঃত্পধ.মড়া.নফ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এনটিআরসিএ। এরপর নিবন্ধিত প্রার্থীরা আবেদন করবেন অনলাইনে। আবেদনের পর চাহিদা ও মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে প্রার্থীর নাম। সে অনুসারে এক মাসের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থী বরাবর নিয়োগপত্র জারি করবে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি।

অগ্রাধিকার পাবেন উপজেলার প্রার্থীরা

নিয়োগের বেলায় বা প্রার্থী নির্বাচনের সময় অগ্রাধিকার পাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলার মেধাতালিকা। উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জেলা মেধাতালিকা এবং তাও না পাওয়া গেলে বিভাগীয় মেধাতালিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিভাগীয় মেধাতালিকা পর্যন্ত যোগ্য প্রার্থী না থাকলে জাতীয় মেধাতালিকা বিবেচনা করা হবে। তবে বিভাগীয় সদর এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বিভাগের প্রার্থীরা। রাজধানী শহর হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রাধিকার বিবেচনা করা হবে না। নিয়োগ দেওয়া হবে জাতীয় মেধাতালিকা অনুসারে।

নতুন নিয়ম কেবল এন্ট্রি লেভেলে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন কর্মরত শিক্ষকরাও। তবে তাঁকেও অন্য আবেদনকারীর মতো মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে। এর আগে নিবন্ধিতদেরও বিবেচনায় আনা হবে। মেধাতালিকাবহির্ভূত এসব প্রার্থীর ক্ষেত্রে মেধাক্রম নির্ধারিত হবে নিবন্ধন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়ে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের অনুসরণীয় এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে কেবল প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষক নিয়োগের বেলায়। প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সহকারী প্রধানসহ যেসব শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে, সেসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0073020458221436