যশোরের কেশবপুরে বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের সঙ্গে ছাত্রীদের সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২০ ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হয়।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারীদের সাইকেল চালনায় উৎসাহিত করতে তাদের সাইকেল উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, যারা দূর থেকে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে আসে, তাদের বেছে নেওয়া হয়। যশোর জেলা পরিষদ ৮ লাখ টাকা ও কেশবপুর পৌরসভা ৬৪ হাজার টাকা দেয় সাইকেল কেনার জন্য।
কেশবপুর পাবলিক ময়দানে রোববার সকালে নির্ধারিত ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা এসে হাজির হয়। বইয়ের সঙ্গে সাইকেল পাওয়ায় তাদের আনন্দ আরও বেড়ে যায়। ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সীমা বলে, ‘আমি ভাবতেই পারছি না একটি সাইকেল পাব।’ বাউশলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হীরা খাতুন বলে, ‘আমি ৪০ মিনিট পায়ে হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে আসি, আবার হেঁটে বাড়ি যাই। সাইকেল পাওয়ায় হাঁটার কষ্ট আর করতে হবে না।’ সাতবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারভিন খাতুন বলে, ‘আমার সাইকেল চালানোর খুব শখ। এখন সাইকেল চালিয়েই স্কুলে যেতে পারব।’ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক রামচন্দ্র সরকার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন ছাত্রী সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। প্রশাসনের কাছ থেকে সাইকেল পেয়ে মেয়েরা আরও উৎসাহিত হবে।
স্থানীয় সাংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ছাত্রীদের হাতে এ সব সাইকেল তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ কবীর ও উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন।
সাইকেল বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণকারী কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ রায়হান কবির বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাবে—এমন চিন্তা থেকেই তিন মাস আগে সাইকেলগুলো কেনা হয়। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের সঙ্গে আজ আমরা সাইকেল বিতরণ করা হলো।’