বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ৮ জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে অবস্থান ধর্মঘট করে যাচ্ছেন। দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ নিয়েও দেখলেন না। একটি জাতিকে শিক্ষিত করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা। এই শিক্ষকদের পেটে যদি ভাতই না থাকে, তাহলে কীভাবে আমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেবেন? এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন; কিন্তু এখনও বেতন পান না। তাহলে তাদের সংসার কীভাবে চলে এবং তাদের সন্তানদের কীভাবে পড়ালেখার খরচ চালান? আমি যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি, সেটা একটি নন-এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়। আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই তখন দেখেছি, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পান না। এখন আমি একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। অথচ আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখনও বেতন পান না।
এটা একজন শিক্ষকের জন্য কতটা হতাশার তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউই জানে না। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন মেনে না নেওয়া অমানবিক। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আবেদন করছি, আপনি তাদের আর্তনাদ শুনুন এবং আপনি সরাসরি নিজে হস্তক্ষেপ করে যত দ্রুত সম্ভব নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ দিন।