নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি তাওসিফও মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন।
ছুটিতে মাঝে মাঝে দেশে আসতেন। এ বছর এমনই এক ছুটিতে দেশে ফিরে ৩ ফেব্রুয়ারি নাস্তা করার কথা বলে ধানমণ্ডির বাসা থেকে বের হন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার, নিরাপত্তাকর্মী ও বাসার গৃহপরিচারিকার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেয়ারটেকার মো. শহীদ বলেন, “ওই দিন বিকেলে তাওসিফ বাসা থেকে নাস্তা করার কথা বলে বের হয়। সন্ধ্যা পর হলেও ফিরে না আসায় তার বাবা আজমল সাহেব ইন্টারকমে ফোন দিয়ে গার্ড নান্নু মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।”
ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ১৯/২ নম্বরের বাসাটিতে গত ৬ বছর ধরে কাজ করেন গার্ড নান্নু মিয়া।
তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ। তিনি জানান, “এ বাসার চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত তাওসিফ। তবে সে পড়ত মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে। সে কারণে তাওসিফ মালয়েশিয়াতেই থাকত বেশির ভাগ সময়। তবে ছুটিতে দেশে এলে এ বাসাটিতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠত।”
এদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জ জঙ্গি আস্তানায় তাওসিফ নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই তাওসিফের বাবা ডা. আজমল হোসেন ও মা ফরিদা হোসেন বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন, তা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী, কেয়ারটেকার ও গৃহপরিচারিকাদের কেউ বলতে পারেন না।