ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অপহরণ মামলার ভিকটিম রিয়াজুল ইসলাম ফরাজীকে (১৬) ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পুলিশের নিকট ১৬১ ধারায় ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় রিয়াজুল দোষ স্বীকার করে জানায়, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি জমি-জমা সংক্রান্ত এলাকার লোকজনের সাথে বিরোধ থাকায় তাদের ভয়ে নিজ ইচ্ছায় পালিয়েছিলেন। পালানোর বিষয়টি তাঁর বাবা-মা জানেন না।
গত ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে গুলশান থানা পুলিশ ব্রাক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রিয়াজুলকে উদ্ধার করে। সে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে একটি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করছিল বলে পুলিশ জানায়। রিয়াজুল ইসলাম উপজেলার বলতলা গ্রামের মোস্তফা ফরাজীর পুত্র ও পাশ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার শাহাব উদ্দিন ফাযিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র।
গত ২৪ এপ্রিল ভান্ডারিয়া শহরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে রের হয়ে নিখোঁজ হয় রিয়াজুল। পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুজেও সন্ধান পায়নি। পরে রিয়াজুলের পিতা মোস্তফা ফরাজী গত ৩১ জুলাই কাঠালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (যার নং ১১৭৬)। সাধারণ ডায়েরীর সাত মাস পর রিয়াজুলের পিতা মোস্তফা ফরাজী বাদী গয়ে গত ১১ নভেম্বর ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইবুনাল-১ কোটে ভান্ডারিয়া উপজেলার ধারানগর (বারিধারা) মাফছার উল-উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুর জালালসহ ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এক মাসের মধ্যে পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে কোটে হাজির করেছে বলে জানান কাঠালিয়া থানার এস.আই মো. আবদুস সালাম।