নিজস্ব বর্ণমালায় প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক রচনার দাবি জানিয়েছে আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠী। গতকাল শুক্রবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। আদিবাসী সাঁওতাল ফেলোশিপ ও সমিতি, সাঁওতাল ছাত্র ইউনিয়ন (সাসু), সাঁওতাল রানাজট সমিতি ও সাঁওতাল লেখক ফোরাম যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ১৭২ বছর ধরে সাঁওতালরা নিজস্ব সাঁওতালি (রোমান) বর্ণমালা ব্যবহার করছে। কিন্তু সাঁওতালদের প্রচলিত বর্ণমালা বাদ দিয়ে সাঁওতাল শিশুদের জন্য কখনও বাংলা হরফ কখনও অলচিকি হরফে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার অপচেষ্টা হয়েছে।
গারো, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও ওঁরাওদের জন্য নিজস্ব ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হলেও সাঁওতালি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক এখনও প্রকাশিত হয়নি। বক্তারা বলেন, তারা বাংলা ভাষা কিংবা বর্ণমালা বিদ্বেষী নন। কিন্তু এ বর্ণমালায় সাঁওতালি ভাষার কিছু কিছু শব্দের উচ্চারণ বিকৃত হয়, যা তাদের কাছে কষ্টকর। তাই সাঁওতালি বর্ণমালা ছাড়া অন্য কোনো বর্ণমালা ব্যবহার করে প্রাক-প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক রচনার উদ্যোগ তারা মানবেন না।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন আদিবাসী সাঁওতাল ফেলোশিপের সহসভাপতি যতীন মারাণ্ডী।
বক্তারা বলেন, কারও মাতৃভাষার ওপর কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মূলনীতির পরিপন্থী। এটা ভাষাসৈনিক ও শহীদদের অপমানের শামিল। তাই কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের কথা না শুনে সাঁওতালি বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক রচনার পদক্ষেপ গ্রহণে বক্তারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।