ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, যেসব কিশোর অপরাধে জড়াচ্ছে, সেসব কিশোরের পারিবারিক বন্ধন এবং পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ নেই। বাবা-মা সন্তানের খোঁজ-খবর রাখেন না। কার সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা এসব খোঁজ-খবর বাবা-মায়ের রাখা উচিত। কেননা যারা বিভিন্ন গ্যাং সৃষ্টি করে তারা ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যায় না। হয়তো পড়াশোনা ছেড়ে দিছে অথবা ড্রপ আউট হয়েছে। বাসা থেকে স্কুল-কলেজে যাওয়ার নাম করে বের হলেও সে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে না।
বাবা-মা এত ব্যস্ত থাকেন যে, সন্তানের এসব বিষয়ে খোঁজ রাখার মতো সময় তারা পান না। সন্তানের খবর যদি বাবা-মা না রাখে তবে রাষ্ট্র সেখানে কি করতে পারে? সবার আগে পরিবার। কোনো কিশোর যদি ঘুম থেকে দেরি করে ওঠে তাহলে ভাবতে হবে সে স্বাভাবিক জীবনে নেই। বাবা-মায়ের খোঁজ নেয়া দরকার কেন সে দেরি করে ওঠে। আমাদের কিশোর অপরাধ সংশোধনাগার তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে পারছে না। হিন্দি ফিল্মে নানা ধরনের অপরাধ দেখে কিশোররা কৌতূহলবশত নানা ধরনের গ্যাং তৈরি করছে। বাবা-মা তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানকে দামি মোটর বাইক কিনে দিচ্ছে। কোথা থেকে এ অর্থ আসে? উঠতি বয়সী একজন তরুণের কি প্রয়োজন আছে মোটর বাইকের? কিছুদিন আগে মোটরসাইকেলের জন্য একজন তার বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। সন্তানের চাহিদা যখন বাবা-মারা অনবরতভাবে পূরণ করতে থাকেন তখন তারা নানা অন্যায় আবদার করছে এবং তা না পেলে নানা ধরনের অপরাধ করছে।