সিংড়ায় সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ না পেয়ে রফিকুর ইসলাম নামে এক প্রধান শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের ক্ষীদ্রবড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সাবেক ইউপি সদস্য জাবেদের নেতৃত্বে ৪/৫ জন লাঠি-শোঠাসহ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে যাওয়ার পর পকেট থেকে ২টি মোবাইল, নগদ ১ লাখ ৭শ টাকা, সাক্ষর করা সোনালী ব্যাংকের দুইটি চেক নিয়ে চলে যায়। পরে তাকে ভ্যানে উঠিয়ে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। আহত প্রধান শিক্ষক এখন সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিত্সাধীন রয়েছেন। কিছুদিন আগে জাবেদসহ কয়েকজন আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আমি দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
স্থানীয় চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত্ স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন এবং শাহিন নামের এক যুবককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নেয়। পরে চাকরি দিতে না পেরে তালবাহানা করছিল। ৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে রাজি ছিল। এ বিষয়ে গ্রামে কয়েকবার শালিসও হয়। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছিল।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মণ্ডল জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। এলে সত্যতা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।