শ্রদ্ধাভাজন সম্পাদক, সালাম নিবেন। আমাদের কথা বলার কোন জায়গা নেই,মাধ্যম নেই। তাই আমাদের একমাত্র ভরসার জায়গা আপনার দৈনিকশিক্ষা পত্রিকায় মনের দুএকটি দুঃখের কথা প্রকাশের আবেদন জানাচ্ছি।
আমার প্রতিষ্ঠান যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,নাগরপুর,টাঙ্গাইল এ আমি সহ আরও পাঁচজন সহকর্মী অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার শিক্ষক হিসেবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে নিয়োগ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারছিনা শিক্ষা আইনের ১৩/১১/১১ নামের একটি কালো, শিক্ষকজীবনগ্রাসী বিধানের কারণে। কবে এই ধারার করালগ্রাস থেকে মুক্তি পাব নাকি আদৌ মুক্তি পাব না কেউ কি বলতে পারবে? এই ধারার যন্ত্রণায় পরপারে চলে গেলেন রংপুরের আমাদের একজন শিক্ষক আব্দুল বাতেন স্যার। এই ধারা বাতিলের জন্য আন্দোলনে ঢাকা গেলাম,প্রেসক্লাবের ফুটপাতে বসলাম,অনশন করলাম,সাবেক রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সাহেব এসে অনশন ভাঙ্গালেন, আশ্বাস দিলেন এমপিওভুক্তির। আজ পর্যন্ত ধারাও বাতিল হলনা, আশ্বাসও মিলল না।কত সময় পেরিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবনও মনে হয় যেন থমকে যাচ্ছে। শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় আপনাদের বেতন হবে।কিন্তু যদি বলা হয় কবে এর কোন উত্তর নেই। পরিপত্রে বলা হয়েছে স্কুল সম্পূর্ণ বেতন বহন করবে আদৌ তা করেকি কেউ কি এ খবর রেখেছে, কোন শিক্ষা অনুরাগী, শিক্ষা বিশারদ? আমার সহকর্মীরা সবসময় আমাকে প্রশ্ন করে স্যার এ যন্ত্রণার শেষ কোথায়? আমার কাছে এর কোন উত্তর নেই, কারো কাছে আছে কি…………অনেক কষ্ট করে পক্স শরীরে মোবাইলে টাইপ করে লিখেছি, আশাকরি লেখাটি প্রকাশ করবেন।
লেখক : মোঃ আলম মিয়া,সহকারি শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা), যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,নাগরপুর,টাঙ্গাইল।