পঞ্চগড়ের নুরুল আলা নূর কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এক বস্তা নকল উদ্ধার করেছে।
সরেজমিনে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম তার অফিসের সিএ ও গাড়ির ড্রাইভার মিলে উদ্ধারকৃত নকল একটি বস্তায় ভরছেন।
জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট নূর আলা নূর কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ফাযিল দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে গলেহা হাট ফাযিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ ২নং কক্ষে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই কক্ষে বেপরোয়া নকল চলার সময় উক্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের ‘কেন্দ্র সচিব’ এবং নূরুল আলা নূর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহমানের ছেলে ও তার শ্যালক নকলসহ ধরা পড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র সচিব কক্ষ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
পরে ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন গলেহাহাট ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইয়াছিন আলি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম শুনানির জন্য দিন ধ্যার্য করে কেন্দ্রে যান। শুনানির পূর্বে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাস্তব অবস্থা অবলোকন করতে গিয়ে নকলের মহোৎসব দেখতে পান। পরে তিনি নকল উদ্ধারসহ ৭ জনকে বহিষ্কার করেন।
এই ব্যাপ্যারে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
অভিযোগকারী অধ্যক্ষ ইয়াছিন আলি বলেন, সন্তান পরীক্ষার্থীর বাবা কিভাবে কেন্দ্র সচিব হন বুঝতে পারছি না। শুধু তাই নয়, প্রতিটি পরীক্ষায় অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান।