ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে গত শুক্রবার বিকেলে ডুবে যাওয়া দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা একটা ও গতকাল রোববার (১২ই ফেব্রুয়ারি)বিকেলে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজন হলেন মিজানুর রহমান ওরফে মিঠু (২৪) ও শিক্ষার্থী শাওন সরকার (২২)। তাঁরা ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত এশিয়ান প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মিজানুর কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার আহমেদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আর শাওন মানিকগঞ্জের সদরের রত্নাদিয়া গ্রামের নিতাই চন্দ্র সরকারের ছেলে।
গত শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে পিকনিক করতে যান। তাঁরা বিকেলে পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে ফুটবল খেলছিল। একপর্যায়ে বলটি নদীতে পড়ে গেলে চারজন বল উদ্ধার করতে নদীতে নামেন। এর মধ্যে দুজন পানি থেকে তীরে উঠতে পারলেও বাকি দুজন তলিয়ে যান।
চরভদ্রাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোতা মিয়া বলেন, ওই দুজন শিক্ষার্থী নদীর যে জায়গায় তলিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে মিজানুর রহমানের লাশটি আজ বেলা একটার দিকে ভেসে ওঠে। জেলেরা প্রথমে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে চরভদ্রাসন থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত শাওনের চাচা বিকাশ সরকার জানান, ডুবুরিরা উদ্ধারকাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর গতকাল রোববার (১২ই ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁরা (পরিবারের সদস্যরা) দুটি ট্রলারে করে নদীতে নামেন। একপর্যায়ে তাঁরা শাওনের মাথা দেখতে পান। পরে পুলিশের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ তাঁদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে। দুই ভাইবোনের মধ্যে শাওন ছোট।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাম প্রসাদ ভক্ত বলেন, গত শুক্রবার (১০ই ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই দুই শিক্ষার্থী নদীতে ডুবে যায়। ওই দিন (শুক্রবার) রাত ৮টা থেকে ১১টা এবং পরদিন শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ঢাকার দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়েও ওই শিক্ষার্থীদের লাশ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় এবং উদ্ধারকাজ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।