শূন্য পদ না থাকায় রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলায় ৩২ জন প্যানেল শিক্ষক মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা গেছে দীর্ঘ চার বছর উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে জয়লাভ করেও রংপুর জেলার ৩২ জন প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছে না। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ আছে কিন্তু ওই উপজেলায় প্যানেল শিক্ষক নেই। আবার কোন কোন উপজেলায় পদ নেই কিন্তু প্যানেল শিক্ষক আছেন। নিয়ম অনুযায়ী এক উপজেলা প্যানেল শিক্ষক অন্য উপজেলায় নিয়োগ হয় না।
এতে শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষালাভ করা থেকে। তবে শিক্ষা সংশিষ্ট অনেকেই বলছেন, এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে উপজেলাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে। রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসার খলিলুর রহমান বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী রংপুর জেলায় প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে তারাগঞ্জ উপজেলায় সদ্য জাতীয়করনকৃত বিদ্যালয়ে পদ খালি না থাকায় সকল শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।
আবার রংপুর জেলার গংগাচড়া, কাউনিয়া, মিঠাপুকুরসহ একাধিক উপজেলায় সদ্য জাতীয়করনকৃত বিদ্যালয়ে শতাধিক পদ খালি আছে। ওই কর্মকর্তা মনে করেন, উপজেলা সমন্বয় করা হলে রংপুর জেলার অপেক্ষমান প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ সম্পন্ন হবে। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার প্যানেল শিক্ষক মশিউর রহমান খান জানান, আমরা চাকরি না পাওয়ায় অনেকেই মানবতার জীবন যাপন করছি।তিনি আরো বলেন দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রায় পেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা করছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, আইন মন্ত্রনালায়সহ সবাই আমাদের সকলকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মতামত দিয়েছেন, এখন অধিদপ্তর গরিমসি করে নিয়োগ বন্ধ করে রেখেছে। প্যানেল শিক্ষকদের মামলার আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেছেন, আদালত রায়কারীদের নিয়োগ দানের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু মন্ত্রনালয় ২৯ এপ্রিলের পাঁচ সদস্যের কমিটির বৈঠকে আদালতের আদেশ পাশ কাটিয়ে সকলকে নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করে। অথচ হাইকোর্টে রায়প্রাপ্ত ৫ হাজার শিক্ষক এখনো নিয়োগর অপেক্ষায় আছেন। আদালতের রায়প্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হলে এতদিনে সকল প্যানেল শিক্ষকের নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে যেত। জেলাপ্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ও অধিদপ্তরের নিদের্শনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এক্ষেত্রে যেসব উপজেলায় সদ্য জাতীয়করনকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে অপেক্ষামান প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তরা অপেক্ষামাণ সকল শিক্ষকদের নিয়োগ একসংঙ্গে সম্পন্ন করতে পারছে না।