পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রশ্নপত্র আলমারিতে আটকে রেখে নিখোঁজ মাদ্রাসা সুপার। মাদ্রাসা সুপারের এ দায়িত্ব অবহেলার কারণে বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ৯৪ শিক্ষার্থী। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গত ১২ই অক্টোবর এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলেও নীরব উপজেলা শিক্ষা প্রশাসনসহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১২ই অক্টোবর) অনুষ্ঠিত পরীক্ষার উত্তরপত্র হাতে পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রশ্নপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে তারা। কলাপাড়ায় ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুল মান্নান প্রশ্নপত্র আলমিরায় আটকে রাখায় এ দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার চলমান বাছনিক পরীক্ষায় বৃহস্পতিবার সকালে দশম শ্রেণির আরবী প্রথম পত্র, ৮ম শ্রেণির আকাঈদ ফিকাহ এবং ৫ম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় হলে প্রবেশ করে নিজ নিজ আসনে বসেন এবং যথারীতি ৯৪ শিক্ষার্থীকে উত্তরপত্র সরবাহ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় এবং প্রশ্নপত্র আলমিরায় আটকে রাখায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
পরীক্ষার হল সুপারের দ্বায়িত্বপালনকারী সহকারী মৌলভী আঃ মজিদ সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র সরবারহ করা হয়। প্রশ্নপত্রের জন্য সুপারকে ফোন দিলে তিনি জানান, আলমীরার চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না। পরবর্তীতে আলমীরা ভেঙ্গে প্রশ্নপত্র সরবারহ করা হবে কিনা জানতে চাইলে মাওলানা আব্দুল মান্নান জানান, আলমিরা ভাঙ্গা হলে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। কারনে শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে দশটায় পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, মাদ্রাসার সকল শিক্ষক বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে মাদ্রাসা সুপারকে ফোন করেন। সুপার তাকে জানিয়েছেন জরুরী কাজে তিনি কলাপাড়ায় আছেন। অন্যদিন এ পরীক্ষা গ্রহন করা হবে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মুঠো ফোনে পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়ার পরই মোবাইল বন্ধ করে রাখেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদ হোসেন জানান, এ পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না এবং তাঁকে কেউ অবহিতও করেননি। কি কারনে কার অনুমতি নিয়ে তিনি পরীক্ষা বন্ধ করে কলাপাড়া গেছেন, কেন পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।