এ বছর থেকে জেএসসি ও সমমানের তিনটি বিষয় এবং এসএসসি ও সমমানের দুটি বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে হবে না বলে জানা গেছে। জেএসসি ও সমমানের যে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে না সেগুলো হলো শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারুকলা এবং কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা। আর এসএসসি ও সমমানের যে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে না সেগুলো হলো শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা। অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতোই হবে।
বাতিল করা এ পাঁচটি বিষয়ের নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু এ নম্বর কোনোভাবেই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে (গ্রেড) ভূমিকা রাখবে না। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে যদি কোনো ভূমিকাই না রাখে, তাহলে বিষয়গুলো পাঠ্যতালিকায় রাখা অযৌক্তিক। এতে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক কোনো চাপ কমল না, বরং অন্যান্য বিষয় পড়ার সময় কমে এলো। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটমুখী হওয়ায় লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ার পথে। ফলে যেসব বিষয় তাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে কাজ দেবে না, তারা সেসব বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করবে না, যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে।
যদি বিষয়গুলো প্রধান করা থাকত, তবে সবাই পড়ত। এটাও শোনা যাচ্ছে যে বিদ্যালয়গুলোকে এ পাঁচটি বিষয়ের নম্বর শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। পরে তা বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হবে। না পড়িয়ে বেশি নম্বর দেওয়ার জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষার মতো টাকা আদায় করবেন কিছু অসদুপায় অবলম্বনকারী শিক্ষক ও কর্মচারী। হয়রানির শিকার হবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অতএব, সরকারের উচিত এ পাঁচটি বিষয় পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া। তবে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে রাখা যেতে পারে। এ বিষয়ে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্তের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোহাম্মদ অংকন
বিইউবিটি, ঢাকা।