পাবলিক পরীক্ষায় জনগণের আস্থা ফেরাবে এবারের এইচএসসির ফল - দৈনিকশিক্ষা

পাবলিক পরীক্ষায় জনগণের আস্থা ফেরাবে এবারের এইচএসসির ফল

মাছুম বিল্লাহ |

প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা চারটি পাবলিক পরীক্ষা চালু করেছি। প্রতিটি পরীক্ষায় হাজার হাজfর শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়া শুরু করল। পাসের হার শতভাগ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। এতে আমাদের আনন্দিত হওয়ারই কথা ছিল। আর আমাদের কর্তৃপক্ষগণ তো বলছেনই যে, সবকিছুর মান বেড়েছে, অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে তাই শিক্ষার্থীরা এত বেশি হারে পাস করছে এবং জিপিএ-৫ পাচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করি, গবেষণা করি তাদের কাছে ব্যাপারটি খুব বেমানান মনে হচ্ছে সেই প্রথম থেকেই।

যে শিক্ষার্থীরা উচ্চ হারের গ্রেড নিয়ে পাস করে বের হচেছ তাদের ভাষাজ্ঞান, সৃজনশীলতা, লাইফ স্কীল, সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতা কোনটিই   সন্তোষজনক পর্যায়ে দেখা যাচ্ছেনা। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, খাতায় যাই লিখুক বা না লিখুক পাস করিয়ে দেওয়ার  ইঙ্গিত, বোর্ডে বোর্ডে অসুস্থ প্রতিযোগিতা , শিক্ষকদের অসদুপায় অবলম্বন, শিক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বন, খাতা মুল্যায়নে শিক্ষকদের অদক্ষতা, সৃজনশীলতার নামে মুখস্থবিদ্যা কিংবা ফাঁকা বিদ্যার প্রসার, নোট-গাইড কোচিং ইত্যাদির প্রসার শিক্ষার্থীদের মান নিম্নগামী হওয়ার পেছনে দায়ী।

কিন্তু শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এগুলোকে অস্বীকার করে করে অবস্থা আরও জটিল করে ফেলেছিলো। বছরের পর বছর একই ধরণের, একই ধাঁচের প্রশ্ন করা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সৃজনশীলতা প্রকাশের ক্ষমতাকে তলানীতে নিয়ে ঠেকিয়েছে। শিক্ষা নিয়ে আমরা যারা কাজ করি এবং শিক্ষার অবনমিত অবস্থা যাদেরকে স্পর্শ করে তারা বার বার বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে বলে আসছে শিক্ষার এই দৈন্যদশার কথা। খুশির বিষয় যে, সরকার কিছুটা হলেও এ দিকে দৃষ্টি দেয়া বোধ হয় শুরু করেছে। যার ফলে, পাবলিক পরীক্ষায় পাসের ও জিপিএ-৫ পাওয়ার বন্যায় কিছুটা ভাটা পরা শুরু করেছে। এটি জনগণের পাবলিক পরীক্ষার প্রতি ধীরে ধীরে আস্থা  ফিরিয়ে আনবে এবং শিক্ষার মানে উন্নতি ঘটাবে।

গ্রেডিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগে একজন শিক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাস করলে মানুষ তার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাতো না। যারা স্টার মার্কস নিয়ে পাস করতো তাদেরকে মনে করা হতো আসলেই তারা কিছু জানে। কিন্তু এখন জিপিএ-৫ পাওয়া হাজার হাজার নয় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করল। এটি শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য নয় বরং শিক্ষাক্ষেত্রে নানামুখী দুর্নীতির জন্য। দুর্নীতির রশি সরকার কিছুটা হলেও টানতে শুরু করেছে, এটি ভাল ইঙ্গিত।

এবার উচ্চ মাধ্যমিকে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (আর সব ধরণের বোর্ড মিলিয়ে এই হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ) যা গতবার ছিল ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ কমেছে ১৫ হাজার ৭০৮ জন। আট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন, গতবার পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। এবার পাস করানোর জন্য  গ্রেস নম্বর দেয়া হয়নি, নতুন কারিকুলামে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে, দক্ষ শিক্ষকের স্বল্পতা , সৃজনশীল বিষয়ে শিক্ষকের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণহীনতা, নতুন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ইংরেজি ও গণিতে ফল বিপর্যয়, কুমিল্লা বোর্ডের ফল সবগুলোর চেয়ে নিম্নে অবস্থান করা, বহু নির্বাচনী প্রশ্নের অংশে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের পাস করতে না  পারা  পুরো ফলের ওপর প্রভাব ফেলছে।

এবার ৫৩২টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এমন প্রতিষ্ঠান ছিল ৮৪৮টি। অন্যদিকে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান এবার ৭২টি, গতবার ছিল ২৫টি।

নতুন পদ্ধতিতে যা করা হয়েছে তা হচেছ- বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই আগে থেকেই প্রশিক্ষিত তিনজন পরীক্ষককে বোর্ডে ডেকে আনা হয়। তাঁরা নতুন হিসেবে ভাল, মাঝারি ও খারাপ মানের তিনটি উত্তরপত্র সংগ্রহ করেন। সেগুলো এই তিনজনও পরীক্ষণ করেন এবং পরে ২০ জন পরীক্ষককে দিয়ে দেখানো হয়। তাতে দেখা যায়, একই উত্তরপত্র হলেও একেকজন একেক রকম নম্বর দিয়েছেন। পরে সবাই মিলে একটি মডেল উত্তরপত্র চূড়ান্ত করেন। সেটি খাতা নিতে আসা পরীক্ষকদের নির্দেশনা আকারে দেয়া হয়।  খাতা জমা দেয়ার পর আবার সেখান থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে সাড়ে ১২ শতাংশ খাতা যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষকেরা সতর্ক হয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা  এবার আগের মতো ঢালাও নম্বর পায়নি।

খাতা দেখায় পরীক্ষকগণ কিভাবে যথাযথ নম্বর দিতে পারেন সে বিষয়ে গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বিইডিইউ)। ২০১৭ সালের এসএসসির পর এবং এইচএসসিতেও খাতা দেখায় তারা পরীক্ষকদের একটি মডেল উত্তর দেওয়ার সুপারিশ করে। সেই হিসেবে এবার পরীক্ষকরা খাতার সঙ্গে প্রতি পত্রেরই মডেল উত্তর পান। কম লিখে কেউ যাতে বেশি নম্বর না পায়, আবার ভাল লিখে কেউ যাতে ভাল নম্বর থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের খাতা দেখার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এত দিন প্রধান পরীক্ষকগণ কোন খাতা দেখতেন না। এবার তাদেরও বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষকদের খাতা চেক করে দেখতে হয়। প্রত্যেক পরীক্ষকের মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্রের ১২ শতাংশ খাতা প্রধান পরীক্ষকের পুনর্মূল্যায়নের বাধ্যবাধকতা ছিল।

পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। আমি যখন পরীক্ষক ছিলাম তখন দেখতাম অনেক শিক্ষক খাতা কীভাবে দেখা হবে সে বিষয়ে সাধারণ একটি মতে পৌঁছার জন্য যে মিটিং হতো তাতেও যোগদান করতেন না। তারা নিজেদের ইচেছমতো খাতা মূল্যায়ণ করতেন, তাতে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক মূল্যায়ন হতো না। বিষয়টি এভাবেই চলে আসছে। এবার পরীক্ষকদের নাকি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টির অবশ্যই প্রশংসা করছি।

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ দৈনিক যুগান্তরে (২৫শে জুলাই ’১৭) বলেছেন, ‘উন্নত অনেক দেশের উদাহরণ কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক দেখে উত্তরপ্রদান  (খোলা বই পদ্ধতি অনুসরণ) পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।’ এটি একটি চমৎকার প্রস্তাব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে টিউটরিয়াল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরণের কিছু টেস্ট হতো। তাহমিনা আহমেদ ম্যাডাম (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন) বই খুলে রেখে আমাদের টেস্ট নিতেন। যেমন- শেলির কোন কবিতায় এবং কোথায় ‘প্লাটোনিক লাভ’ বর্ণিত হয়েছে তা খুঁজে বের কর এবং ব্যাখ্যা কর। তিনি আরও বলেছেন, ‘রাজধানী বা জেলা শহরের নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের ফলাফলকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য করার প্রবণতা পরিহার করে মাঠের বাস্তবতা ও তৃণমূলের প্রকৃত চিত্র আমলে নিয়ে পর্যায়ক্রমিক সংস্কার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ চমৎকার বলেছেন।

এক্ষেত্রে আমি একটি বাস্তব উদাহরণ দিতে চাই। ক’বছর আগ থেকে শুরু হয়েছে ঢাকার নামি-দামি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ক্লাস সরাসরি টেলিভিশনে প্রচার করা যাতে গ্রাম-গঞ্জের শিক্ষকগণ তা দেখে ভাল ক্লাস কীভাবে নিতে হয় তা অনুশীলন করতে পারেন। উদ্যোগটি ভাল, হয়তো কেউ উপকারও পাচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে কোন গবেষণা নেই। কিন্তু আমি টেলিভিশনে প্রচারিত ঐসব ক্লাসগুলো দেখি। সেখানে দেখছি শিক্ষকগণ অনবরত কথা বলেই যাচ্ছেন যেখানে নিয়ম হচ্ছে বেশি বেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানো।একজন শিক্ষক অনবরত এ ভাবে ক্লাস করালে উনি এভাবে ক’টি ক্লাস নিতে পারবেন?

কিন্তু গ্রাম-গঞ্জের স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রতিদিন ৫/৬টি  করে ক্লাস নিতে হয়। ঢাকার ঐ শিক্ষক তাদেরকে শেখালেন যে, একটি ক্লাসেই একজন শিক্ষক তার সমস্ত এনার্জি খরচ করবেন, তাহলে বাকি ক্লাসগুলোর কী হবে? আর একটি বিষয় দেখলাম, ঢাকার শিক্ষকগণ শুধুই ব্ল্যাকবোর্ডের কাছে থাকছেন, একটি বারের জন্যও ক্লাস মনিটরিং করছেন না। এখানেও একটি ভুল মেসেজ দিয়ে গেলেন। সবচেয়ে অপছন্দের যে বিষয়টি দেখলাম সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই (তবে বাংলা ও ইংরেজি ক্লাসের ক্ষেত্রে দেখলাম) একেবারে ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে পড়াচ্ছেন। যেমন- সমাস কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী? পুরো সংজ্ঞা পড়াচ্ছেন, তারপর উদাহরণ দিচ্ছেন। ইংরেজিতেও টেনস কত প্রকার, কী কী, প্রথমে সংজ্ঞা দিচেছন তারপর উদাহরণ। নতুনত্বের নাম গন্ধ নেই। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা প্রকাশের কোন সুযোগ নেই। আধুনিক টিচিং এর বিপরীতমুখী চিত্র এটি।

তাই শুধু ঢাকার ভাল নামি-দামি স্কুল-কলেজের উদাহরণ দিলেই হবেনা। এসব প্রতিষ্ঠানের পড়াশুনা শুধুমাত্র ফলভিত্তিক, আধুনিক টিচিং এর ঁেছায়া এখানে খুব কম আছে কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাধারণত কোন প্রশিক্ষনেও পাঠানো হয়না মূলত দুটো কারণে। একটি হচেছ, তারা মনে করেন যে, তাদের শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে অনেক কিছু জানেন, তাদের প্রশিক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই। দ্বিতীয়ত, কোন ক্লাস যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তাই বিকল্প কোন ব্যবস্থার কথা চিন্তা না করে তারা শিক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণে পাঠান না। ফলে, শিক্ষকগণ আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতির সাথে খুব একটা পরিচিত নন। দু’চারজনের কথা আলাদা।

আর একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচেছ আমাদের পাবলিক পরীক্ষা মূলত ‘সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট’ যা একজন শিক্ষার্থীর প্রকৃত মেধা ও ভেতরকার শক্তিকে সব সময় সঠিকভাবে প্রকাশ করেনা। পাঁচ বছর দশ বছরের জ্ঞান আড়াই কিংবা তিন ঘন্টায় যাচাই করা কোনভাবেই সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি  নয়। তারপরেও বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়। এর সাথে যদি ‘ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট’ বিষয়টিকে গুরত্ব সহকারে চালু করা যায় তাহলে একজন শিক্ষার্থীর অনেকটাই প্রকৃত মূল্যায়ন করা যাবে। আমাদের জাতীয় পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট) এবার একটি প্রশসংনীয় কাজ করেছে। আশা করি তারা ধীরে ধীরে ‘সামেটিভ অ্যাসেসমেন্টে’র সাথে ‘ফরমেটিভ অ্যাসসমেন্ট’ চালু করে পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।

মাছুম বিল্লাহ: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক।

 

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036110877990723