যশোরের বাঘারপাড়ায় এক শিশুকে (১০) কাঠের গুঁড়ির সঙ্গে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনায় বাবা ও মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন শিশুটির বাবা উপজেলার ইন্দ্রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমএলএসএস আব্দুল আলীম ও দরিলাকুড়ে হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে উপ পরিদর্শক (এসআই) ফকির পান্নু মিয়া বাদী হয়ে মামলা করে। বুধবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিল। ওই রুলে শিশুটির চিকিৎসার ভার নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রুলে। গত ১৮ এপ্রিল রাতে মাগুরার ভায়নার মোড় থেকে শিশুটিকে পায়ে কাঠ ও শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ছয়রুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই মাদ্রাসা ছাত্রের পায়ে গাছের গুঁড়ির সঙ্গে শিকল বাঁধে তার বাবা। ওই অবস্থায় তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসেন। মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে পুলিশকে না জানানোয় তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। হাফেজি পড়তে না চাওয়ায় তার বাবার সম্মতিতে তাকে বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুর দরিলাকুড়ে হাফিজিয়া মাদরাসার সুপার জাহাঙ্গীর আলম শিকলবন্দি করে রাখে বলে জানায় শিশুটি।
পরে সেখান থেকে পালিয়ে মাগুরায় আসে সে। ঘটনাটি জানার পরই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।