জিম্বাবুয়ের সাবেক ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবে জালিয়াতির মাধ্যমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন—এমন অভিযোগ বহুদিনের। এ ঘটনা তদন্তে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা শুক্রবার ইউনিভার্সিটি অব জিম্বাবুয়ের উপাচার্য লেভি নায়াগুরাকে গ্রেপ্তার করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মুগাবের স্ত্রী গ্রেসের ডিগ্রি পাওয়ায় তাঁর অবদান ছিল।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে গবেষণা শুরুর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেস মুগাবেকে (৫২) ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। সাধারণত এ ধরনের ডিগ্রি অর্জন করতে কয়েক বছর পূর্ণকালীন গবেষণা ও লেখালেখি করতে হয়।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার কমিশনার গুডসন এনগুনি বলেন, ‘নায়াগুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা জালিয়াতকারীকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।’ তবে অতিমাত্রায় ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত গ্রেসকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না—এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই স্বভাবের কারণে তিনি গুচি (ব্যাগ প্রস্তুতকারী বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড) গ্রেস নামেও পরিচিত।
জনগণের দাবির মুখে গত মাসে ‘পরিবর্তনশীল সমাজ কাঠামো ও পরিবারের ভূমিকা’ শীর্ষক ২২৬ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, ডিগ্রি অর্জনের জন্য গ্রেস প্রকৃতপক্ষে গবেষণা অথবা লেখাপড়া করেননি। ফার্স্ট লেডি হওয়ার সুবাদে তিনি সেটি হাতিয়েছেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন।
গ্রেসকে তাঁর ৯৩ বছর বয়সী স্বামী মুগাবে প্রেসিডেন্ট পদে স্থালাভিষিক্ত করার ইচ্ছা পোষণ করতেন। এ নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। গত নভেম্বরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হন। সূত্র : এএফপি।