২০১৬ সালে সরকারি চাকরিতে রেকর্ড সংখ্যক ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ২০১৫ সালের চেয়ে সদ্য বিদায়ী বছরে প্রায় চারগুন বেশি নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ২০১৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে ৩ হাজার ৬৯৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পক্ষান্তরে ২০১৬ সালে এসে ১৩ হাজার ৩৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গেল বছরে গতি ফিরে আসে পিএসসির নিয়োগ কার্যক্রমে।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেয়েছি যোগ্য প্রার্থীরা যেন চাকরি পায়, সেজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি দিয়ে শূন্য পদের তালিকা চেয়েছি। সকলে সহযোগিতা করার কারণে গত বছরে রেকর্ড সংখ্যক নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয়েছে।
পিএসসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ২৪৫ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১০ হাজার ৬৮২ জন, ৩৫তম বিসিএস থেকে ক্যাডার পদে ২ হাজার ১৭৪ জন, ৩৪তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণিতে ৩২৮ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ হাজার ১৭৭ জনসহ মোট ১৩ হাজার ৩৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ৮৯৯ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২০৫ জন, ৩৪তম বিসিএস থেকে ক্যাডার পদে ২ হাজার ১৭৬ জন, ৩৩তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৩৩ জন, ৩৪তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণিতে ৮১ জনসহ মোট ৩ হাজার ৬৯৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
এছাড়াও ২০১৫ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে সেমিনারও বেশি আয়োজন করে পিএসসি। ২০১৫ সালে ৬টি সেমিনার হলেও ২০১৬ সালে হয় ৭টি। পিএসসির কর্মকর্তারা বলেন, ড. মোহাম্মদ সাদিক পিএসসির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজের গতি অনেকাংশ বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। তবে চলতি মাসে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে ১৫শ’র মতো নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে চাহিদা পেয়েছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।