প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কবিতা লেখায় মাদ্রাসাছাত্রের চুল কেটে দিল দুর্বৃত্তরা - Dainikshiksha

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কবিতা লেখায় মাদ্রাসাছাত্রের চুল কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

বগুড়া প্রতিনিধি |

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে প্রশংসামূলক কবিতা লেখায় বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর কামিল মাদরাসার ছাত্র আবু তালহার মাথার অর্ধেক চুল কেটে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।

সেই সঙ্গে ওই ছাত্রকে হত্যার হুমকি দেয়ায় তিনি পালিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মিরের দেউলমুড়া গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। আবু তালহা লেখাপড়ার পাশাপাশি বগুড়া সেনানিবাসের গলফ ক্লাবে কেডি (খেলোয়াড়দের ব্যাগ বহনকারী) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুল হালিম বগুড়ার শাহজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার রাতে জমা দেয়া অভিযোগে তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও ওই মাদরাসাছাত্রের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের মিরের দেউলমুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিমের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। মাদরাসাছাত্র তালহার দাদা দারুজ্জামান মন্ডল এবং তার এক চাচা মুক্তিযোদ্ধা।

পারিবারিক অভাবের কারণে আবু তালহার বাবা আব্দুল হালিম মন্ডল কাজের সন্ধানে বগুড়ার মাঝিড়া এলাকায় যান। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে গার্ড হিসেবে চাকরি নেয়ার পর ডোমনপুকুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তালহা ডোমনপুকুর মাদরাসায় লেখাপড়া করার পাশাপাশি সেনানিবাসের গলফ ক্লাবে কেডি পদে খণ্ডকালীন কাজ করেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট আবু তালহা তার ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রশংসামূলক একটি কবিতা লেখেন। এই কবিতা পড়ে ওই এলাকার কিছু উশৃঙ্খল যুবক আবু তালহার ওপর ক্ষেপে যায়।

এরপর ১১ আগস্ট গভীর রাতে ওই যুবকরা আবু তালহার এক মামাতো ভাই শরিফুল ইসলামকে দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির পাশের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেসবুকে ওই কবিতা লেখার জন্য তাকে গালমন্দ করার পাশাপাশি আবু তালহার চোখমুখ বেঁধে চড় থাপ্পড় ও লাথি মারে তারা।

এরপর মাথার অর্ধেক চুল কেটে দেয়। ওই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তারা আবু তালহাকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়। এতে ভয় পেয়ে তালহা ডোমনপুকুর থেকে পালিয়ে নিজ গ্রাম রায়গঞ্জের মিরের দেউলমুড়ায় আশ্রয় নেন।

মঙ্গলবার দুপুরে আবু তালহা জানান, বগুড়া ছেড়ে আসতে বাধ্য হওয়ায় তার লেখাপড়া ও খণ্ডকালীন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেন।

শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035350322723389