অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর নিয়োগ বাতিল এবং এমপিও বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে আত্মসাৎকৃত ৭ লাখ ২২ হাজার ১০০ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পিডিআর এক্ট ১৯১৩ অনুযায়ী মামলা করে অর্থ আদায় করার আদেশও দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ই মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে ওই প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার ভাঙ্গুরা জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অভিজ্ঞতা বিধিসম্মত নয় বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়।
প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় তার বেতন ভাতা বন্ধে কারণ দর্শানোর ব্যবস্থা নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আত্মসাৎকৃত ৭ লাখ ২২ হাজার ১০০ টাকা চালানের মাধ্যমে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে পিডিআর এক্ট ১৯১৩ তে মামলা করে অর্থ আদায় করার কথাও বলা হয়।
এছাড়া, মো. শওকত আলীর অবৈধ নিয়োগ বাতিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এডহক কমিটি গঠন করে সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করার লক্ষ্যে বোর্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।