প্রশ্নফাঁস ও এর সম্ভাব্যি উৎসসমূহ রোধের উপায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত সভা করেছে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গঠিত প্রশাসনিক কমিটি। মঙ্গলবার বিকালে বুয়েটের কম্পিউটার ভবনে (১২ তলা ভবন) কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কমিটির মুখপাত্র এবং বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সোহেল রহমান দৈনিকশিক্ষাকে এ তথ্য জানান। কমিটি আগামী রোববার দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এতে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অধ্যাপক সোহেল রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য এবং সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রতিনিধি শাহরুখ আহমেদ। পুলিশের সিআইডির সদস্য মনোনয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় সেখানকার কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেননি।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ওপর এরই মধ্যে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। কমিটির আরেকজন সদস্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন দিক এবং সে আলোকে সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার তথ্য তুলে ধরেন। এরপর প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাব্য বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করা, সম্ভাব্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অধ্যাপক সোহেল রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে চাই। সেটা সম্ভব হলেই কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এরপর আমরা সুষ্ঠু পরীক্ষা গ্রহণে প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত সুপারিশ করব। সে জন্য আমরা সময় নিয়ে কাজটি করতে চাই।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ছাপানো পদ্ধতি এবং ঝুঁকিমুক্তভাবে তা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এর একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি, অপরটি প্রশাসনিক কমিটি।