বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে তা ফটোকপি করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন নড়াইলের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জিল্লুর রহমান। তাকে পরীক্ষার সমস্ত কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এ উপজেলায় প্রাথমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা সোমবার (১১ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যায় ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সব বিষয়ের প্রশ্নফাঁস করে তা ফটোকপি করছিলেন ওই শিক্ষক।
জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের ১১২ নং নোওখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জিল্লুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যালয় থেকে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সব বিষয়ের প্রশ্নপত্র থানা এলাকার মিজান ষ্টোরে ফটোকপি করছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতার সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। লোহাগড়া থানার এসআই শাহিন ফটোকপির দোকান থেকে ওই শিক্ষককে ফটোকপি প্রশ্নপত্রসহ আটক করেন। পরে তাকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে অবহিত করেন। ওই শিক্ষক সৈয়দ জিল্লুর রহমান শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ও অভিভাবক জানান, জিল্লুর রহামনসহ অনেক শিক্ষক প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় গোপনে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জিল্লুর রহমানকে আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার সমস্ত কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ফাসঁ হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মু. শাহআলম প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।