পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক অধ্যক্ষসহ নয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (পশ্চিম) ।
সোমবার (২৭শে মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা মোড় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেইন গেইটের পাশের যাত্রী ছাউনির নীচ থেকে প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে বিভিন্ন স্থান থেকে বাকীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফর হোসেন, কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান তুহিন, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম (ম্যাথ জাহাঙ্গীর ), এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারি মো. আব্দুল মজিদ এবং চার ছাত্র মো. আরিফ হোসেন আকাশ আদু, মো. সাইদুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ন কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, এই চক্রের ফেসবুকে একটি সিক্রেট গ্রুপ আছে যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। প্রিন্সিপাল মো. মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি, Imo, What’s app এর মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে ভূয়া প্রশ্নপত্র অনলাইনে পোস্ট করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যবহৃত ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন একাউন্ট হতে জেএসসি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের বাংলা ২য় পত্র, গণিত, ইংরেজি, কৃষি শিক্ষা, চারু ও কারু কলা, এইচএসসি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের উচ্চতর গণিত ১ম পত্র, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান এবং এসএসসি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজি ২য় পত্র, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ভূয়া প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সম্বলিত স্ক্রীনশট ও ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়েছে।