প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বাদ যাবে এমসিকিউ: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - Dainikshiksha

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বাদ যাবে এমসিকিউ: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেয়া হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। সোমবার (১২ই ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তিনি কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না।’

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চলমান এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদেশীদের পরামর্শে এমসিকিউ পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয় ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে। সব প্রস্তুতি শেষ করে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু হয়।

গত কয়েকবছর যাবত বলা হচ্ছে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই হচ্ছে না। এ ছাড়া ভালো ফল করতে অনেক শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলেই শিক্ষার্থীদের সরাসরি অথবা বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। আবার সঠিক উত্তরসহ প্রশ্নপত্র আগেভাগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তা পেয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর পাওয়া সহজ হচ্ছে।

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু করা হয়। বাকি ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (সিকিউ)। ৫০ নম্বরের এমসিকিউ উত্তর দিতে প্রতি বিষয়ে ৫০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যার নাম ছিল প্রশ্নব্যাংক। ৫০ নম্বরের উত্তর দিতে শিক্ষার্থীরা ৫০০ এমসিকিউ মুখস্ত করে পরীক্ষায় বসত। তখন এমসিকিউ ও সিকিউ মিলে ৩৩ নম্বর পেলেই পাস করত। ফলে শিক্ষার্থীরা রচনামূলক অংশের লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ৫০০ এমসিকিউ মুখস্থ করত। এতে পাসের হার রাতারাতি বাড়তে থাকে। এতে শিক্ষার মান নামতে শুরু করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নির্ধারিত ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ তুলে দেয়। তবে , এতেও কিছু হয়নি। এমসিকিউর উত্তর পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের বলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে থাকে। পরে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমসিকিউর পূর্ণ নম্বর ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের এমসিকিউর উত্তর বলে দেওয়ার প্রবণতা কমেনি। নকল ঠেকাতে কেন্দ্র বিনিময় বিনিময় প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক উত্তর বলে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্যোগের পরও বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তরসহ ফাঁস হয়েছে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003896951675415