প্রসঙ্গ টাইমস্কেল পাসের খবর ও নেতৃবৃন্দের ডেডলাইন - Dainikshiksha

প্রসঙ্গ টাইমস্কেল পাসের খবর ও নেতৃবৃন্দের ডেডলাইন

মোহাম্মদ আব্দুর রউফ |

গত ৬ জুলাই সভা চলাকালীন দবির উদ্দিন স্যার ফেইসবুকের মাধ্যমে আমাদের খবর জানালেন যে, প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের টাইমস্কেল পাস হয়েছে এবং আমরা সবাই আনন্দে সরকারসহ সমিতির সকল নেতৃবৃন্দকে বাহবা জানালাম। কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক গেজেট প্রকাশের ডেডলাইন দিলেন ৩ আগস্ট । কোথায় কাজের কাজ কিছুই তো হলো না। প্রায় একমাস গত হলো এখন পর্যন্ত সমিতির সভাপতি বা সেক্রেটারী মহোদয়ের সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য বা দিক নির্দেশনা পাই না কেন ? এ বিষয়ে তো আমরা ফেইসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুললাম। আমার মনে সব লেখা একত্র করলে মহাকাব্য রচিত হবে।একপক্ষ অপর পক্ষকে যেভাবে  ‍তুলাধুনা করল তাতে মান-ইজ্জতের অবশিষ্ট রইল কি না আমার সন্দেহ হয়।

আমরা আরও লক্ষ্য করলাম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন লেখার ব্যাপারে কমেন্ট করলে লেখক তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে নানান প্রতিউত্তর দেন। আমার প্রশ্ন হলো কেন? একজন শিক্ষক বুঝে না বুঝে বা ধৈর্য্যের চরমে পৌঁছে অনেক কথা বা অভিব্যক্তি প্রকাশ করতেই পারেন- এতে রাগান্বিত না হয়ে তাদেরকে বুঝ দেওয়াটাই তো আপনারো নেতাদের কাজ। কারণ এই জটিলতা আপনারা বা আমরা কোন শিক্ষকরা তো আর তৈরি করিনি। এই জটিলতা তো তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রীয় অনুশাসনের দ্বারা । যখন আমাদের টাইমস্কেল পাওনা তখন ২০০৯ সালের পে-স্কেল কার্যকর। তারপরও কেন বারবার ২০১৫ এর পে-স্কেলের কথা বলা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। ছোট মুখে আরেক কথা বলতেই হচ্ছে-আমরা শিক্ষক, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। টাইমস্কেল প্রাপ্তির ব্যাপারে কি শুধু আমাদেরই দায়বদ্ধতা, অন্য কারো অর্থাৎ সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই ? নেতৃবৃন্দের কাছে আমার স্পষ্ট কথা আপনারা কেন এই ডকুমেন্ট বা সেই তথ্য বা কাগজ সংগ্রহ করতে যাবেন । এটা তো অাপনাদের কাজ নয় । আপনারা বা আমাদের কাজ তো হলো দপ্তর হতে মঞ্জুরীর জন্য যা চাওয়া হচ্ছে-তা প্রদান করা এবং আমরা তা যথা-সময়ে দিয়েছি । আরেকটি কথা শোনা যায় যে, আইনী জটিলতা । এ ব্যাপারে সবিনয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশ সরকারের আমলারা তো আইন কম জানেন না । প্রত্যেক মন্ত্রণালয়েই তো আইন সেল রয়েছে- কীভাবে উদ্ভূত জটিলতার সমাধান করবেন এটি তারা ভালো করেই জানেন ।

আমার মনে হচ্ছে কোথাও যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হচ্ছে। ভাবতেও অবাক লাগে, আমরা কথায় কথায় বলি ডিজিটাল বাংলাদেশ । কিন্তু কিছু কাজ হচ্ছে এনালগের চেয়েও মন্থর। কালক্ষেপণ করে টাইমস্কেল নামক অধরার পিছে ঘুরেই চলেছি, একবার কী হিসেব করে দেখেছি যে, আর্থিকভাবে কী পরিমাণ গচ্ছা বা মার গেলাম। এই ক্ষতির দায়ভার কে নিবে । যা পবিত্র সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এখন আমাদের আর্থিক ক্ষতি পূরণের নিমিত্ত ১৯৯৯ সালের বাতিল হওয়া প্রজ্ঞাপন পুনঃস্থাপন করে ক্ষতি আদায় করার দাবী করা দরকার। সরকার যদি পাবলিক রিকোভারী এ্যাক্ট-১৯১৩ দ্বারা সরকারি পাওনা যেকোন সময় আদায় করতে পারে, তবে আমরা কেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায় করতে পারব না । ক্ষতি বা গচ্ছা যাই বলি না কেন তা তো সরকারের কারণেই হয়েছে । প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেওয়াই শ্রেয় । পরিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলতে চাই, আর বিলম্ব না করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে কাঙ্খিত বিষয়ের সুরাহা করেন । আমরা তো মানুষ, ধৈর্য্যের একটা সীমারেখা আছে । ভুল-ত্রুটি মার্জনীয় । সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

মোহাম্মদ আব্দুর রউফ

শিক্ষক

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065350532531738