মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা দুইটায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান জাকজমকপূর্ণ করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। সোমবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ ও প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তার সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।
এদিকে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জৌলুস বাড়াতে পুরো ঢাকা শহরে লাগানো হয়েছে রঙ বেরঙের ফেস্টুন। ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের প্যানেলে ইডেন কলেজের ভিপি নির্বাচিত হওয়ার ছবি। ছাত্রলীগের আন্দোলন ও সংগ্রামের নানান স্মৃতিময় পোস্টার ও ফেস্টুন এখন রাজধানীর ল্যামপোস্টগুলোতে শোভা পাচ্ছে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ^বিদ্যালয় ও জেলাগুলোতেও লাগানো হয়েছে বিপুল সংখ্যক পোস্টার। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে শাহবাগ ও হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত লাগানো হয়েছে মাইক। মঞ্চের কাজও শেষ। সব মিলিয়ে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী একটি উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে পরিণত হবে বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সফল করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি, লক্ষাধিক নবীন-প্রবীণ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।’
ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন,‘ প্রচার ও প্রচারণার সকল কাজ শেষ। পুরো ঢাকা শহর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক ফেস্টুন ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। ফেস্টুন গুলোতে ছাত্রলীগের অতীতের সংগ্রাম ও গৌরবময় সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি, মঙ্গলবারের ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হবে।’
এছাড়া পুনর্মিলনীর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনও করেছে ছাত্রলীগ।