প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি - Dainikshiksha

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

বেদখল হইয়া গিয়াছে রাজধানীর ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি। এইসব জমি বস্তি, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টারসহ ব্যবহূত হইতেছে বিভিন্ন কাজে। বেদখল জমি উদ্ধারে বার বার তাগিদ দিয়া আসিতেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

এমনকি স্কুলগুলির জমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়াছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ফলোদয় হয় নাই। এইসব স্কুলের মধ্যে কোতোয়ালি থানাধীন এফকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে অবস্থিত ব্রাহ্মণচিরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়ারির এমএ আলীম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাবতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।

স্কুলের ভূমি উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের বাধা, মামলা-মোকদ্দমা, নামজারির অভাব, জমির মাপের ব্যাপারে সার্ভেয়ারের প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলা ইত্যাদি প্রতিবন্ধকস্বরূপ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করিলেও তাহার গতি অত্যন্ত মন্থর।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখলের জন্য বহুলাংশে দায়ী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি।  তাহাদের উদাসীনতা, কাগজপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, স্বেচ্ছাচারিতা, দখল প্রক্রিয়ায় মৌন সমর্থন বা প্রকাশ্য অংশগ্রহণের অভিযোগ নূতন নহে।

বর্তমানে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সমপ্রসারণে সরকার সচেষ্ট। সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতকরণও প্রক্রিয়াধীন। এমতাবস্থায় রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির বেদখলকৃত জমি উদ্ধার, বিদ্যমান ভূমির সদ্ব্যবহার ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি সময়ের দাবি।

নগরীর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ক্রমবর্ধমান শিক্ষার চাহিদা মিটাইতে রুগ্ণ সরকারি স্কুলগুলিকে প্রাণবন্ত ও মানসম্মত করা অপরিহার্য। একই কারণে অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও সার্বিক উন্নয়ন দরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি পুনরুদ্ধারে আসলে বিস্ময়কর গাফিলতি রহিয়াছে বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি জাতীয়করণ করার পর বলা হইয়াছিল, এইসব বিদ্যালয়ের জমি সরকারের নিকট হস্তান্তরিত হইবে।

কিন্তু পরে এই ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে তেমন আর অগ্রগতি হয় নাই। ইহাও এই সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম কারণ। এখন বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। এই মুহূর্তে জরুরি কাজ হইল বেহাত হওয়া জমিগুলি পুনরুদ্ধার করিয়া সরকারি মালিকানায় নেওয়া এবং এইগুলিকে শিক্ষার কাজেই ব্যবহার করা।

এইক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হইবে। যেহেতু এইসব জমির প্রকৃত মালিক সরকার, তাই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ করা উচিত নহে।

আর জবর দখল প্রক্রিয়ার সহিত যে বা যাহারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাহাদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করিতে হইবে কঠোর ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেই এই ব্যাপারে পালন করিতে হইবে অগ্রণী ভূমিকা।সহিত যে বা যাহারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাহাদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করিতে হইবে কঠোর ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেই এই ব্যাপারে পালন করিতে হইবে অগ্রণী ভূমিকা।

দৈনিক ইওেফাকের সম্পাদকীয়

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0066068172454834