নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দেরর পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরসহ কয়েকটি দপ্তরে অনুলিপি দিয়েছেন অভিভাবকরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ই এপ্রিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সাপাহার উপজেলায় যে সকল শিক্ষার্থী বৃত্তি পায় তাদের মধ্যে নেই উপজেলার সেরা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একটি সাপাহার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অপরটি জয়পুর রাজ্যধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একই ভাবে বৃত্তি পেয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পেছনের সারির শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার এই উপজেলায় ৩২ জন ট্যালেন্টপুলে ও ৩৯ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়।
মডেল ও রাজ্যধর স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ বলেন, বিগত কয়েক বছরে এ দুটি স্কুলের প্রথম সারির সেরা শিক্ষার্থীরা বেশি সংখ্যক বৃত্তি পেয়েছে অথচ এবার এ দুটি স্কুল থেকে প্রথম সারির অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাইনি।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, কারসাজি হয়েছে খাতায়। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কমবেশি দেখিয়ে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেখিয়ে বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও নম্বর ফর্দ তৈরির সময় কম্পিউটারে কারসাজি বা নম্বর টেম্পারিংও হতে পারে বলেও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চান অভিভাবকবৃন্দ।
এদিকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন ও রাজ্যধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর উল্লেখ করে তাদের অভিভাবকরা খাতা পুণর্নিরীক্ষণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১৬ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ সহ কয়েকটি দপ্তরে অনুলিপি দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি না পাওয়ায় ধারনা হচ্ছে কোথাও কিছু একটা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে এবং ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।